অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জন্য কি দায়ী ছিলেন পাইলটই? নাকি ককপিটে কোনও সমস্যা ছিল? ইতিমধ্যে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে দেশবিদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উঠে এসেছে নানা ‘জল্পনা’। এ বার সেই সব রিপোর্টের সমালোচনা করল আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলিকে ‘অনুমানমূলক’ বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন এনটিএসবি চেয়ারপার্সন জেনিফার হোমেন্ডি।
আমেরিকার সরকারি সংস্থা এনটিএসবি বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করে। অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পর তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)-র পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে এনটিএসবি-ও। সেই সংস্থার চেয়ারপার্সন জেনিফার শুক্রবার দাবি করেন, বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলি বেশির ভাগই অনুমানের উপর দা়ঁড়িয়ে লেখা হয়েছে। তা ছাড়া, এগুলি অসম্পূর্ণ। জেনিফারের কথায়, ‘‘এত বড় মাত্রার কোনও দুর্ঘটনার তদন্তে সময় লাগে।’’ ফলে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এত তাড়াতাড়ি কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোনো ঠিক নয়।
আরও পড়ুন:
অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার ভেঙে ২৬০ জনের মৃত্যুর ঘটনার এক মাসের মাথায় গত ১২ জুলাই প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে এএআইবি। এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট আসা বাকি। তবে তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে যে সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার প্রকাশ্যে আসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের দুই পাইলটের কথোপকথন। তাতেই মোড় ঘুরে যায় অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা-কাণ্ডের! ককপিটের ভিতরের ওই কথোপকথনকে তুলে ধরে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করে, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিলেন উড়ানের পাইলটেরাই। যদিও ওই দাবি খারিজ করে দেয় এএআইবি। তারা জানায় পাইলটের কারণেই বিমান দুর্ঘটনা, এই রকম তথ্য এখনও প্রমাণিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তীব্র সমালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভেবেছে পাইলটদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান পাইলটস (এফআইপি)। তাদের দাবি, কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার জন্য পাইলটদের দায়ী করা হয়েছে। এ জন্য আইনি নোটিস পাঠিয়ে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং রয়টার্সকে ক্ষমাও চাইতে বলেছে পাইলটদের ওই সংগঠন। তার মাঝেই প্রকাশ্যে এল মার্কিন তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য।