মোবাইল আর কম্পিউটারের পর্দা থেকে চোখ সরাতে স্কুলের শিশুদের কাগজের খবর পড়া আবশ্যিক করা হল উত্তরপ্রদেশে। সম্প্রতি একটি সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ইংরেজি ও হিন্দি খবরের কাগজ স্কুলের রোজকার পড়াশোনায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে যেন থাকে।
গত নভেম্বরে সরকারি নির্দেশিকায় শিশুদের পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। সম্প্রতি অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা) পার্থসারথি সেনশর্মার জারি করা একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘সকালের প্রার্থনার সময়ে রোজ দশ মিনিটের পর্ব রাখতে হবে খবরের কাগজ থেকে পাঠ করার জন্য। পালা করে পড়ুয়ারা তা পড়বে। সম্পাদকীয় নিবন্ধের মূল বিষয়গুলি, দেশ-বিদেশ এবং খেলার গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক খবর পড়তে হবে।’ পড়ুয়াদের মনঃসংযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে এতে, বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
গত ২৩ ডিসেম্বরের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই অভ্যাস গড়ে উঠলে প্রাথমিক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তি মজবুত হবে, চারপাশে ঘটে চলা নানা বিষয়ে জানা ও বোঝার পরিধি বাড়বে। ভবিষ্যতে তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে, এর সুফল মিলবে সে ক্ষেত্রেও। নিয়মিত পড়ার অভ্যাসে শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে, ভাল আয়ত্ত হবে ভাষার শৈলী, লেখার দক্ষতা বাড়বে। নানা ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হলে বিশ্লেষণমূলক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটবে, ঠিক আর ভুলের মধ্যে ফারাক করার ক্ষমতা বাড়বে। এর ফলে ভুয়ো খবরের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সচেতন হয়ে বড় হবে তারা।
ইন্টারনেটের জালে জড়িয়ে থাকা সময়ে খবরের কাগজ নিয়মিত পড়লে ছাত্রছাত্রীরা তাদের চারপাশের বিষয়ে সচেতন হবে, বুঝতে পারবে কী ভাবে স্থানীয় বিষয়গুলি দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বোনা হতে হতে চলে— বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে,নানা রকম মানবিক সংবাদ প্রতিবেদন পড়ে ছাত্রছাত্রীরা ক্রমশ বুঝতে শিখবে অন্যের সুখ-দুঃখ, প্রয়োজন এবং লড়াইয়ের জায়গাগুলি। গড়ে উঠবে সহানুভূতিশীল মন, তারা হয়ে উঠবে দায়িত্বশীল নাগরিক। সংবাদপত্রের সুডোকু, শব্দছক প্রভৃতি শুধু বিনোদন নয়,ছাত্রছাত্রীদের মস্তিষ্কের বিকাশও ঘটায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)