—প্রতীকী ছবি।
মাঠ থেকে নাবালিকা দুই বোনকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে মারধর এবং তার পরে তাদের জোর করে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ এবং তার ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেল করার হুমকি দিয়েছিল দুই তরুণ। অপমান সহ্য করতে না পেরে একটি ওড়নার দু’দিক গলায় বেঁধে আত্মঘাতী হয় দুই বোন। বুধবার রাতের দিকে দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ মেলার পরে এমনই অভিযোগকে ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়ল উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। এসিপি (আইন-শৃঙ্খলা) হরিশ চন্দর জানিয়েছেন, দুই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় একটি ইটভাটার ঠিকাদার রামরূপ, তার ১৮ বছরের ছেলে রাজু এবং ১৯ বছরের ভাগ্নে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা সকলেই ওই দুই নাবালিকার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। দুই বোনের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে ভোটের আগে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স-হ্যান্ডলে লিখেছেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের গ্যারান্টি মানে ‘জঙ্গলরাজ’। তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপি ও মোদী-মিডিয়া মিথ্যার ব্যবসা চালাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ’। মাস দুয়েক আগে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের মধ্যেই বিজেপির দুই ছাত্র নেতার গণধর্ষণের ঘটনা এবং বিচার না পেয়ে এক মহিলা বিচারকের আত্মহত্যার ঘটনাকেও এই প্রসঙ্গে টেনে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তিনি। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ লিখেছেন, ‘‘মোদীর অন্যায় কালে প্রতি ঘণ্টায় তিন জন নারী ধর্ষিতা হন!’’
সন্দেশখালির ঘটনাকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে চাপের মধ্যে থাকা তৃণমূলও বিজেপিকে নিশানা করেছে। দলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র এক্স-হ্যান্ডলে কটাক্ষের সুরে লিখেছেন, ‘‘যে হেতু বিজেপি-শাসিত রাজ্য, তাই মহিলা কমিশন, মানবাধিকার কমিশন বা শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন সেখানে ছুটে যাবে না!’’
দলিতদের উপরে বিজেপি শাসনে নির্যাতনের ঘটনা নিয়েও পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। জয়রাম রমেশের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশেরই রামপুরের সিলাইবারা গ্রামের একটি পার্কে বাবাসাহেব অম্বেডকরের নামাঙ্কিত বোর্ড বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ গুলি চালালে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুমেশ নামে ১৭ বছরের এক দলিত কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। হাথরসের ধর্ষিতার মতোই সুমেশের দেহও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তড়িঘড়ি করে দাহ করেছে বলে অভিযোগ রমেশের। তিনি জানান, এই ঘটনা নিয়ে জাতীয় জনজাতি কমিশনের কাছে নালিশ জানাতে গেলে একাধিক কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy