প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ, ধর্মীয় পরিচয় লুকিয়ে এক বিবাহবিচ্ছিন্না হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করে এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি। কিছু দিন পরে তাঁকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। ওই মহিলা অসম্মত হলে আগের পক্ষের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণও করে সে।
লখনউয়ের গুদাম্বা থানার পুলিশ সম্প্রতি ইমরান খান নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। লখনউ-পুলিশের ডিসি (উত্তর) দেবেশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, ইমরান নিজের নাম ভাঁড়িয়ে ৩৫ বছরের ওই বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলার সঙ্গে আলাপ করেছিল। নিজের পরিচয় দিয়েছিল সঞ্জয় চৌহান হিসেবে। কিছু দিন পরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর তাঁরা বিয়ে করেন।
দেবেশ বলেন, ‘‘পুলিশকে অভিযুক্তের স্ত্রী জানিয়েছেন, বিয়ের কিছুদিন পরেই ইমরান তার ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ করে। এর পর সে ওই মহিলাকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতে থাকে। ওই মহিলা গররাজি হওয়ায় তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে ইমরান।’’ ইমরানকে গ্রেফতারের পর তার কাছে থেকে ভুয়ো ভোটার পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, মেয়েদের বিয়ের অছিলায় ধর্মান্তরণ আটকাতে গত বছরই আইন প্রণয়ন করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই আইনে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে। মাস তিনেক আগে গোরক্ষপুরে মইনউদ্দিন নামে এক যুবককে ওই আইনে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy