উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ভাঙাচোরা অফিসে মিলেছে ‘অপরাধের নানা চিহ্ন’। —ফাইল ছবি।
ভাঙাচোরা অফিসের সিঁড়িতে এখনও লেগে রয়েছে রক্তের ছিটে। সোফায় পড়ে সাদা কাপড়ের টুকরো। তার কাছেই পড়ে রয়েছে একটি ছুরি। প্রায় তিন বছর আগে জেলবন্দি থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ৩০ কোটির বেআইনি বাড়ি, অফিস ভেঙে দিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। যদিও তা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়নি। দিন দশেক আগে আতিকের খুনের পর প্রয়াগরাজের ওই বাড়িতে আবার হাজির হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেখানেই মিলেছে তাঁর ‘অপরাধের নানা চিহ্ন’। ওই রক্তের ছিটে কার, তা খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
প্রয়াগরাজের খুলদাবাদের চকিয়া রোডে প্রায় ৭০০ বর্গফুট জুড়ে আতিকের বাড়ি। সেখানে ছিল তাঁর অফিসও। তবে ২০২০ সালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেই বেআইনি অফিস তথা বাড়ি ভেঙে দেন প্রয়াগরাজ ডেভলপমেন্ট অথরিটি (পিডিএ) এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা। ওই আধভাঙা অফিস থেকে ১০টি বেআইনি অস্ত্র-সহ নগদে ৭৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকাও উদ্ধার হয়েছে বলে সোমবার পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
১৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আতিক এবং তাঁর ভাই আসরফকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছেন সাংবাদিকের বেশধারী তিন জন। অভিযোগ, কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আতিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালান তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আতিকদের খুনের পর প্রয়াগরাজের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে উপস্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুনীলকুমার সিংহের দেহ। প্রয়াগরাজে নোডাল অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই খুনের পিছনে আতিকের হত্যাকাণ্ডের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy