Advertisement
E-Paper

বারাণসী গণধর্ষণ: তদন্ত নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করার পাঁচ দিন পর সরানো হল দায়িত্বে থাকা অফিসারকে

গত ৩ এপ্রিল বারাণসীতে গণধর্ষণ হয়। ১০ এপ্রিল নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে যান প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির নির্দেশ দেন তিনি। অসন্তোষ প্রকাশ করেন তদন্ত নিয়েও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৪০
( বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারাণসী গণধর্ষণকাণ্ডে  সরানো হল দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্তা চন্দ্রকান্ত মীনাকে। (ডান দিকে)।

( বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারাণসী গণধর্ষণকাণ্ডে সরানো হল দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্তা চন্দ্রকান্ত মীনাকে। (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বারাণসী গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করার পাঁচ দিনের মধ্যেই কাশী জ়োনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে (ডিসিপি) সরিয়ে দেওয়া হল। কাশী জ়োনের ডিসিপি চন্দ্রকান্ত মীনার বদলিতে রাজ্য পুলিশমহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, আইনশৃঙ্খলা দফতরের অন্যতম দক্ষ অফিসার হিসাবে পরিচিত মীনা। ঘটনাচক্রে, এই গণধর্ষণ মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠার পরই এই পদক্ষেপ করা হল বলে মনে করছেন অনেকে। তবে ডিসিপি মীনাকে কোথায় বদলি করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে পৌঁছেই এই ঘটনার খোঁজখবর নেন। তার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রের খবর, তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৩ এপ্রিল গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে ক্ষোভের আবহ তৈরি হয়েছিল। সেই আবহে গত ১০ এপ্রিল বারাণসী সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বারাণসীতে নেমেই প্রথমে এই গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে খোঁজ নেন। বারাণসীর পুলিশ কমিশনার এবং অন্য শীর্ষ কর্তারা তাঁকে ঘটনাটি সংক্ষেপে জানান। সূত্রের খবর, তদন্ত কোন পথে তা নিয়েও জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তার পরই রাজ্য প্রশাসনকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। এমনকি, এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে, সেই সতর্কবার্তাও দিয়ে আসেন তিনি।

বারাণসী গণধর্ষণের ঘটনার পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও সব অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর পর মূল অভিযুক্ত-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও ১০ অভিযুক্ত পলাতক। গত ৪ এপ্রিল তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ, এক বন্ধু তাঁকে পিশাচ মোচন এলাকার একটি হুক্কা বারে নিয়ে যান। সেখানে আরও কয়েক জন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তাঁকে খাওয়ানো হয়। তার পর সিগরা এলাকার কয়েকটি হস্টেলে নিয়ে গিয়ে সাত দিন ধরে ২৩ জন মিলে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্তে মেনে পুলিশ বড়সড় যৌনচক্রের হদিস পেয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মূল অভিযুক্তের ফোন থেকে ৫৪৬ জন মহিলার অশ্লীল ভিডিয়ো এবং ছবি উদ্ধার হয়েছে। সেই ভিডিয়ো এবং ছবি উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে পাঠিয়ে গ্রাহক জোগাড় করা হত।

Gangrape Case varanasi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy