ছবি: পিটিআই।
অমিত শাহকে নিশানা করেই নিজেদের শক্তি অটুট রাখতে চাইছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা। ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে সভাপতি পদে ফের বসার কথা অমিত শাহের। সেটি ঠেকানোই তাঁদের লক্ষ্য বলে দলীয় সূত্রে খবর।
বিক্ষুব্ধ শিবিরের মতে, সে দিন তিন জন প্রাক্তন সভাপতিকে দিয়ে বিবৃতি দেওয়ানো হলেও ধীরে ধীরে সুর নরম হচ্ছে এক এক জনের। এ দিন যেমন নিতিন গডকড়ী নাগপুর থেকে একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমি কখনওই আডবাণী বা মুরলীমনোহর জোশীর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলিনি।’’ বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, বিক্ষুব্ধ নেতারা মোদীর বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না। বলছেন, দলের কৌশল নিয়ে। অর্থাৎ ঘুরপথে বেঙ্কাইয়াও স্বীকার করছেন— দলের কৌশল নির্ধারণকারী অমিত শাহের বিরুদ্ধেই এই বিবৃতি। বিক্ষুব্ধদের আশা, এ বারে এই নেতারাও নিশ্চয় দলের ভিতরে অমিতের সভাপতির মেয়াদ ঠেকাতে তৎপর হবেন।
এক দিন এই ভাবেই নিতিন গডকড়ীর সভাপতি হওয়া ঠেকিয়ে দিতে পেরেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সে দিন দুপুর পর্যন্ত নিজেকে ‘নিষ্কলঙ্ক’ বলে দাবি করে আসা গডকড়ীকে প্রবল চাপের মুখে সরে যেতে হয়েছিল। পরে রাজনাথ সিংহকে সভাপতি হিসেবে সাদরে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলেন আডবাণীরা। কিন্তু বিজেপির এক প্রভাবশালী নেতার মতে, গডকড়ী আর অমিতের মধ্যে ফারাক রয়েছে। গডকড়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু অমিতের বিরুদ্ধে তা নেই। অমিতকে গুজরাত থেকে এনে সভাপতি করেছেন মোদীই। ফলে অমিতকে সরানো বা না-সরানোর পিছনে মোদীর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া এর পর যিনি সভাপতি হবেন, তিনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত থাকবেন। সেই বছরেই লোকসভা নির্বাচন। ফলে মোদীই বা কেন নিজের অপছন্দের কাউকে সভাপতি পদে মেনে নিতে চাইবেন?
কিন্তু বিক্ষুব্ধদের প্রধান আপত্তি দলকে এ ভাবে কুক্ষিগত করে রাখা নিয়েই। আজ দলের সাংসদ তথা ভোজপুরি নায়ক মনোজ তিওয়ারিও এ দিন আডবাণীদের সমর্থন করে বলেন, ‘‘পরাজয়ের দায়ভার কার, তা সুনির্দিষ্ট করার কথাই বলেছেন মার্গদর্শক নেতারা। এক দিকে আমরা স্বচ্ছ প্রশাসনের কথা বলব, আবার অপরাধীদের টিকিট দেব— এ তো চলতে পারে না!’’ গত কাল জোশীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলি। তার জেরে বিক্ষুব্ধদের শক্তিতে যাতে ভাটা না পড়ে, তা সুনিশ্চিত করতে যশবন্ত সিন্হা আজ জোশীর বাড়ি যান। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বলেন, লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy