জানলা দিয়ে হাত গলিয়ে একের পর এক টাকার বান্ডিল ফ্ল্যাটের নীচে ফেলছেন এক ইঞ্জিনিয়ার। শুক্রবার সকালে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছিল ওড়িশার ভুবনেশ্বর। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে সেই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ভিজিল্যান্সের আধিকারিকেরা। নগদ আড়াই কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার বৈকুণ্ঠনাথ ষড়ঙ্গীর ফ্ল্যাট থেকে। জানা গিয়েছে, শনিবারই ছিল তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিন। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার ওড়িশার এই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়।
ওড়িশার ভিজিল্যান্স দফতরের অধিকর্তা যশবন্ত জেঠওয়া জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে নগদ ২ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। কার্টনে ভরে টাকার বান্ডিলগুলি ঘরের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। নগদ টাকা ছাড়াও তাঁর সম্পত্তির যে হদিস মিলেছে, তা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত তদন্তকারী আধিকারিকেরা। একজন সরকারি ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক কী ভাবে হলেন, কোথায় কোথায় সেই সম্পত্তি রয়েছে, একটি তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। নগদ টাকা ছাড়াও একাধিক জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং জমির হদিস মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, অঙ্গুলের কারাদাগাড়িয়ায় একটি বিলাসবহুল দোতলা বাড়ি
রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারের। ওই জেলারই মাতিয়া সাহিতে আরও একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে
বৈকুণ্ঠনাথের। এ ছাড়াও ভুবনেশ্বরের দুমদুমায় ১৫৩০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, পুরীর পিপিলিতে ১১০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আরও একটি বাড়ির হদিস মিলেছে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়াও সাতটি জমি রয়েছে ভুবনেশ্বর
এবং অঙ্গুলের বাইরে। তার মধ্যে অঙ্গুলে রয়েছে তিনটি জমি। পুরীতে রয়েছে চারটি।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই দু’জায়গা ছাড়াও আরও কয়েকটি জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারের স্থাবর
সম্পত্তির হদিস মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। শেয়ার বাজারেও আড়াই কোটির বেশি টাকা
বিনিয়োগ করেছেন। ব্যাঙ্ক এবং বিমা মিলিয়ে দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন
ইঞ্জিনিয়ার। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর স্ত্রীর নামে টাকা গচ্ছিত রয়েছে। একটি
চারচাকা গাড়ি রয়েছে।