অহমদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, তাতে কি গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী ছিলেন? কয়েকটি সূত্রে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। বিমানের যাত্রীদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত ভালা আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছেন, তিনি বিজয়কে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন। ওই বিমানে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। যাত্রীদের বিমান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার বাসেও উঠেছিলেন বিজয়। তবে তিনি বিমানে উঠেছিলেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তাঁর খোঁজ চলছে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি অহমদাবাদের টার্মিনাল ২ থেকে ছেড়েছিল। ৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের উড়ান শেষে তাঁর নামার কথা ছিল গ্যাটউইকে। লন্ডন থেকে দু’ঘণ্টার সড়ক- দূরত্বে এই বিমানবন্দর। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, এআই১৭১ বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুরে অহমদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
এটি বোয়িং সংস্থার বি৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান ছিল। এই ধরনের একটি বিমানে সর্বোচ্চ ২৯০ থেকে ৩০০ জন যাত্রী থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অহমদাবাদের বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমানবন্দরের কাছে লোকলয়ে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। বিস্তীর্ণ অংশ ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। মনে করা হচ্ছে, বিমানটিতে ২০০-র বেশি যাত্রী ছিলেন। এখনও যাত্রীসংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। খুব বেশি উচ্চতায় বিমানটি পৌঁছোতে পারেনি। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা।
বিমান ভেঙে পড়ার পর পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয়। রাজকোট পশ্চিমের বিধায়কও ছিলেন। বর্ষীয়ান নেতাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপি।