পাসপোর্ট বাতিল হয়েছিল আগেই। লন্ডনে লুকিয়ে থাকা বিজয় মাল্যকে দেশে ফেরাতে ব্রিটেনকে চিঠিও লিখেছে ভারত। এই সময়েই রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন কিংফিশার কর্তা। তবে যে পদ্ধতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি তাতে ইস্তফাপত্র আদৌ কতটা গ্রাহ্য হবে, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
রাজ্যসভার এথিক্স বা নীতি কমিটি মাল্যকে বহিষ্কারের জন্য সাত দিন আগেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। তবে নিজের বক্তব্য জানানোর জন্য বিতর্কিত সাংসদকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। আগামিকাল নীতি কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে ঠিক সাত দিনের মাথায় আজ লন্ডন থেকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারিকে ইস্তফার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন মাল্য। লিখেছেন, তিনি চান না যে তাঁর সম্মানে আরও কাদা লাগানো হোক। মাল্যর ব্যাখ্যা, ‘‘কিছু দিন থেকে পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে বুঝছি সুবিচার পাব না। সে জন্যই ইস্তফা।’’ রাজ্যসভার নীতি কমিটির চেয়ারম্যান কর্ণ সিংহকেও চিঠি পাঠিয়েছেন মাল্য।
তবে এ ভাবে সাংসদ পদ থেকে মাল্যর ইস্তফা আদৌ গৃহীত হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যসভার সাংসদকে ইস্তফা দিতে হলে তা চেয়ারম্যানের সামনে এসে দিতে হয়। কোনও বিশেষ কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দেওয়া যায় না। ফলে আগামিকাল নীতি কমিটির বৈঠকে মাল্যকে বহিষ্কারের রাস্তা খোলাই থাকছে। অনেকের মতে সেটা বুঝেই মাল্য ইস্তফার চিঠি দিয়েছেন। এর পরে নীতি কমিটি তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে।
রাজ্যসভা থেকে মাল্যর বহিষ্কার নিয়ে নীতি কমিটির সকলেই একমত। কমিটির আগের বৈঠকের দিনই নীতি কমিটির চেয়ারম্যান কর্ণ সিংহ জানিয়েছিলেন, ‘‘মাল্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর সকলেই একমত যে তাঁকে বহিষ্কার করাই উচিত।’’ রাজ্যসভার সদস্যদের প্রতি বছর হলফনামা দিয়ে সংসদে জানাতে হয় যে এক বছরে তাঁর সম্পত্তি বা দেনার পরিমাণে কতটা বদল হয়েছে। দশ বছর ধরে মাল্য জানিয়েছেন, তাঁর সম্পত্তি বা দেনায় বদল আসেনি। অথচ তাঁর সংস্থা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে। ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ না করেই চুপিসারে দেশ ছেড়েছেন মাল্য। সুপ্রিম কোর্ট মাল্যকে তাঁর বিদেশে সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে বলেছিল। কিন্তু মাল্য রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy