Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Jain Diaries case

Hawala: প্রমাণ দিন মুক্তির, মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ধনখড়কে নিশানা হাওয়ালা-যোদ্ধা বিনীতের

বিনীতের দাবি, নৈতিকতার কারণে জগদীপ ধনখড় এবং আরিফ মহম্মদ খানের অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।

বিনীত নারায়ণ এবং জগদীপ ধনখড়।

বিনীত নারায়ণ এবং জগদীপ ধনখড়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৬:১৪
Share: Save:

জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডকে ফের জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন সাংবাদিক তথা দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের কর্মী বিনীত নারায়ণ। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহসী পদক্ষেপের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’’

পাশাপাশি, প্রকাশিত ভিডিয়ো-বার্তায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সরাসরি মিথ্যাচারের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে হাওয়ালা মামলার তদন্তের দাবিতে আবেদন জানিয়েছিলেন বিনীত। তাঁর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর (ধনখড়) মিথ্যা কথা বলা উচিত নয়। আমি তাঁকে প্রশ্ন করব, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা জৈন হাওয়ালা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন কি?’’

বিনীতের অভিযোগ, উদ্ধার হওয়া জৈন ভাইদের ডায়েরিতে তৎকালীন ‘প্রাক্তন মন্ত্রী’ ধনখড়ের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি লেখা ছিল। পাশাপাশি, প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কেরলের বর্তমান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধেও। বিনীত বলেন, ‘‘নৈতিকতার কারণে আরিফ এবং ধনখড়ের অবিলম্বে রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’’

বিনীত মঙ্গলবার বলেন, ‘‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি এই মামলা লড়ছি। হাওয়ালা-কাণ্ড শুধু দুর্নীতির নয়, এর সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অর্থের জোগানের বিষয়টি জড়িত।’’

সোমবার ধনখড়ের বিরুদ্ধে হাওয়ালা-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে মমতা বলেছিলেন, ‘‘উনি এক জন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। দুঃখের সঙ্গে বলতেই হচ্ছে, এক জন আদ্যোপান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। জৈন হাওয়ালা মামলায় ওঁর নাম রয়েছে। কেন্দ্র না জানলে, আমি জানাচ্ছি। চার্জশিট বার করে দেখুন নাম আছে কি না। প্রথমে আদালতকে ম্যানেজ করে নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ফের রিট পিটিশন জমা পড়ে। এখনও তার নিষ্পত্তি হয়নি। আদালতে পড়ে রয়েছে।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতার এই অভিযোগের পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে ধনখড় বলেন, ‘এখনও জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। হাওয়ালা চার্জশিটে আমার নাম ছিল না। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী যা মন্তব্য করেছেন তার কোনও সত্যতা নেই।’’

বিনীতের দাবি, হাওয়ালা কাণ্ডের অভিযুক্তদের আদৌ মুক্তি দেয়নি শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের সময় তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের মন্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সুষমা সে সময় বলেছিলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোনও সাংবিধানিক পদে রাখা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে বিশ্বসাযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মোদী সরকার সঠিক আইনি পরামর্শ মানেনি (পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলের রাজ্যপাল নিয়োগের ক্ষেত্রে)।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE