জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পুজোর অনুমতি চেয়ে দায়ের হওয়া আবেদন নিয়ে মুসলিম পক্ষের বক্তব্য শুনল বারাণসী জেলা আদালত। সোমবার জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীর ম্যাজিস্ট্রেট এ কে বিশ্বেসের এজলাসে এ বিষয়ে ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র তরফে বক্তব্য পেশ করা হয়। আগামী শনিবার ফের মামলার শুনানি হবে।
২০২১-এর অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালত নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করে।
সেই সমীক্ষার রিপোর্ট পেশের পরে ওজুখানা ও তহখানা ‘সিল’ করার নির্দেশ দেয় দায়রা আদালত। গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি শুনানি হবে বারাণসী জেলা আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার চেয়ে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটি একটি পৃথক আবেদন জানানো হয় জেলা আদালতে। অন্য দিকে, ওজুখানার জলাশয়ের মাছগুলিকে স্থানান্তর করতে চেয়ে জেলা প্রশাসন একটি পৃথক আবেদন দায়ের করেছে।
সোমবার সরকারি কৌঁসুলী রানা সঞ্জীব সিংহ এবং হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন জানিয়েছেন, আদালত জ্ঞানবাপী চত্বরের সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির রিপোর্ট মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে দেখতে দিতে সম্মত হয়েছে। প্রসঙ্গত, আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আইএসআই)-এর সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির ওই রিপোর্টে ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লিখিত হয়েছে বলে জল্পনা। যদিও মসজিদ কমিটি এবং কাশী কাশী করওয়ত মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গণেশশঙ্কর উপাধ্যায়ের দাবি, যাকে শিবলিঙ্গ বলা হচ্ছে সেটি আসলে ফোয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy