অপেক্ষা। প্রতীকী ছবি
দূরপাল্লার ট্রেন লেট করা থেকে বাতিল হওয়া, নানা সমস্যায় ভুগতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু ট্রেন বাতিল হওয়া থেকে লেট, সবেতেই সংরক্ষিত টিকিটের টাকার পুরোটা ফেরত দেওয়ার নিয়ম রয়েছে ভারতীয় রেলে। কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানা থাকায় অনেকেই সেই সব সুবিধা নিতে পারেন না।
নিয়ম বলছে, যদি কোনও ট্রেন বাতিল হয়ে যায় তবে পুরো ভাড়াই রেল ফেরত দিয়ে দেয়। আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকে যাঁরা টিকিট কাটেন তাঁদের এর জন্য কিছুই করতে হয় না। নিজে থেকেই টাকা ফেরত চলে যায় সংশ্লিষ্ট যাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আবার ট্রেন যদি ৩ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় লেট করে তা হলেও ভাড়ার টাকার পুরোটাই ফেরত পাওয়া যায়। তবে এটা আপনাআপনি হয় না। এর জন্য আবেদন করতে হয়। অনলাইনে কাটা টিকিটের ক্ষেত্রে আবেদনও অনলাইনেই করা যায়। করোনাকালে কাউন্টার থেকে কাটা টিকিটের ক্ষেত্রেও অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম চালু করে রেল। তবে তার জন্য টিকিট কাটার সময়ে যাত্রীর ফোন নম্বর দেওয়া আবশ্যিক। তবে আবেদন করতে হবে যে স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার কথা সেখান থেকে ট্রেন ছাড়ার আগেই। আবেদন না করলে সফরবাতিল করলেও ভাড়া ফেরত পাওয়া যায় না। আর ট্রেন যদি পথ (রুট) বদল করে তবেও পুরো ভাড়া ফেরত পাওয়া যায়। যদি দেখা যায় সংশ্লিষ্ট যাত্রী যেখানে থেকে বা যে স্টেশনে যেতে চান সেটি বা দু’টিই পরিবর্তিত পথে নয়, তবে পুরো ভাড়াই ফেরত দেওয়া হয়।
এই সব ক্ষেত্রে ভাড়া ফেরতের জন্য রেলের পরিভাষায় টিডিআর (টিকিট ডিপোজিট রিসিপ্ট) ফাইল করতে হয়। অনলাইনে টিডিআর ফাইল করার পরে টাকা ফেরতের পরিস্থিতি যাচাই করারও সুবিধা রয়েছে। আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটেই ‘ফাইল টিডিআর’ অপশন পাওয়া যায়। সেখানে পিএনআর (প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড) নম্বর-সহ অন্যান্য তথ্য জমা দিতে হয়। আইআরসিটিসি এই আবেদন রেলের সংশ্লিষ্ট জোনকে পাঠায়। সেখান থেকেই টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়াশুরু হয়। পিএনআর নম্বর ব্যবহার করেই ‘রিফান্ড স্ট্যাটাস’ দেখা যায়। তবে আইআরসিটিসি টাকা পাঠায় টিকিট কাটার সময় যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড ব্যবহার করা হয় সেখানে। তাই টাকা আসা পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্ট বা কার্ড যাতে বাতিল হয়ে না যায় সেটা যাত্রীদের খেয়াল রাখা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy