দাঁতের বদলে গোটা চোয়াল প্রথম দিনেই খুলে নিতে চেয়েছিলেন যিনি, তাঁর গলাতেই আজ নরম সুর।
তা-ও আবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টা আগে। কোঝিকোড়ে মোদীর জনসভা নিয়ে বিজেপি-সঙ্ঘের বিরাট প্রত্যাশা রয়েছে। নেতা-কর্মীরা ভাবছেন, প্রধানমন্ত্রী খোলসা করবেন, নিছক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া ছাড়া উরির ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আর কী পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার। উরির ঘটনা ঘটতেই সঙ্ঘ থেকে আসা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেছিলেন, ‘‘দাঁতের বদলে চাই গোটা চোয়াল।’’ আজ কোঝিকোড়ে বিজেপির বৈঠকের ফাঁকে দলে পাকিস্তান বিরোধী কট্টর মুখ সেই রাম মাধবকেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পাঠান অমিত শাহ! উরি নিয়ে ধেয়ে আসা প্রশ্নবাণের মুখে প্রবল অস্বস্তির মধ্যেও রাম মাধবকে দলের দুর্গ সামলাতে হয়েছে। তিনি বলেন, কূটনৈতিক স্তরে অনেক পদক্ষেপ হয়েছে এবং আরও হবে। তবে পাকিস্তানকে জবাব দিতে কূটনীতি ছাড়া আর কোনও পদক্ষেপের হদিস দিতে পারেননি তিনি। বরং তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘জাতীয় পরিষদের বৈঠকের মূল লক্ষ্য দীনদয়াল উপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে গরিবের কল্যাণ। সেখানেই জোর আমাদের।’’
চাপের মুখে পরে দলের সচিব শ্রীকান্ত শর্মা বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনার তরফে গোড়া থেকেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেনাকে পদক্ষেপ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বার সেনা কী ভাবে কাজ করবে, সেটি তাদের এক্তিয়ারে পড়ে। এর বেশি আর কী করা যেতে পারে এই মুহূর্তে?’’ তবুও উদ্বিগ্ন অমিত শাহ দলের নেতাদের বার্তা দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর উপরে আস্থা যেন হারিয়ে না যায়। লোকসভা ভোটের সময় যে যুব সম্প্রদায় মোদীর সমর্থনে এসেছিল, পাকিস্তান নিয়ে তাঁদের রোষ যাতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চালিত না হয়, তা দেখতে হবে।