তাঁর বাড়ি থেকে নগদ টাকা এবং সোনার গয়না মিলিয়ে দু’কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। আর সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা অসমে। তিনি নূপুর বরা। অসমের সিভিল সার্ভিস অফিসার। বর্তমানে কামরূপে সার্কল অফিসার হিসাবে কর্মরত। সোমবার তাঁর বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়েছে রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতর। গ্রেফতারও করা হয়েছে নূপুরকে। ঘটনাচক্রে, আমলা হিসাবে সোমবারই তাঁর কর্মজীবনের ছ’বছর পূর্ণ হয়েছে।
১৯৮৯ সালের ৩১ মার্চ অসমের গোলাঘাটে জন্ম নূপুরের। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক তিনি। কটন কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন। সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার আগে ডিসট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল ট্রেনিং (ডিআইইট)-এ লেকচারার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালে অসম সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করেন। নূপুরের প্রশাসনিক কেরিয়ার শুরু হয় কার্বি আংলঙে অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার হিসাবে। ২০১৯-২০২৩ সালে পর্যন্ত ওই পদে কর্মরত ছিলেন নূপুর।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুনে বরপেটায় সার্কল অফিসার হিসাবে যোগ দেন। তার পর পরে কামরূপে বদলি করানো হয়। নূপুরের সমাজমাধ্যম প্রোফাইল বলছে, ঘুরে বেড়াতে খুব পছন্দ করেন তিনি। গুয়াহাটির গোটানগরে ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। এ ছাড়াও আরও চার জায়গায় সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন ভিজিল্যান্স কর্তারা। পুলিশ সুপার রোজ়ি কলিতা বলেন, ‘‘নূপুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। আমরা আরও নগদ টাকা উদ্ধার করেছি তাঁর বাড়ি থেকে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, নূপুরের বাড়ি থেকে নগদ ৯০ লক্ষ টাকা এবং এক কোটি টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। নূপুরের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই নজরদারি চালাচ্ছিল ভিজিল্যান্সের বিশেষ সেল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেনামে বহু জমি কেনা-সহ সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছেন। শুধু তা-ই নয়, জমির হস্তান্তর এবং চরিত্র বদলেরও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। নূপুরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, বেআইনি ভাবে সরকারি জমি সন্দেহভাজনদের কাছে বিক্রি করেছেন।