Advertisement
০৬ মে ২০২৪
National News

‘কেন নিরাপদ নই’, সংসদের সামনে ধর্নায় বসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, সাসপেন্ড তিন

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন। চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগ, ‘‘মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে মারধরও খেতে হয়েছে অনুকে।’’ কেন অনুর সঙ্গে এমন আচরণ করা হল, তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে নোটিসও পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন।

সংসদ ভবনের সামনের ফুটপাতে প্রতিবাদে কলেজ-ছাত্রী অনু দুবে। শনিবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

সংসদ ভবনের সামনের ফুটপাতে প্রতিবাদে কলেজ-ছাত্রী অনু দুবে। শনিবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:১৫
Share: Save:

‘কেন আমার দেশ ভারতে আমি নিরাপদ নই?’ হায়দরাবাদে ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে খোদ সংসদ ভবনের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে শনিবার এই প্রশ্ন তুলে দিলেন এক কলেজ-ছাত্রী। পুলিশ তাঁকে অবশ্য সেই ধর্না চালিয়ে যাওযার সুযোগ দেয়নি বিশেষ। কিছু ক্ষণ পরেই পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে অনুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল থানায়। অভিযোগ, পুলিশি নিগ্রহেরও শিকার হতে হয়েছে অনুকে।

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন। চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগ, ‘‘মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে মারধরও খেতে হয়েছে অনুকে।’’ কেন অনুর সঙ্গে এমন আচরণ করা হল, তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে নোটিসও পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন। ওই ঘটনার জেরে অবশ্য পরে তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এ দিন সংসদ ভবনের দুই ও তিন নম্বর গেটের সামনে ফুটপাতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়েন অনু। তাঁর হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘কেন আমার দেশ ভারতে আমি নিরাপদ নই?’

আরও পড়ুন- ‘নিখোঁজ ডায়েরি করতেই নাজেহাল হয়েছি’, বললেন ধর্ষিতা চিকিৎসকের বাবা​

আরও পড়ুন- কালীঘাটে ধর্ষণ ২ নাবালিকাকে, ধৃত নাবালকও​

কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা অনুকে বেশি ক্ষণ সেখানে বসে থাকতে দেননি। নিরাপত্তারক্ষীরা অনুকে যন্তর মন্তরে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বলেন। অনু নারাজ হলে, তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পার্লামেন্ট স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনে। বেশ কিছু ক্ষণ পর অনুর বক্তব্য শুনে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অনু পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি সরকারি কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান।

দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছেন, ‘‘হায়দরাবাদের ওই ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন এক কলেজ-ছাত্রী। তাঁকে আটকে রেখে মারধর করল পুলিশ। আমি থানায় গিয়ে অনুর সঙ্গে দেখা করেছি। দেখেছি, ও ভয়ে কাঁপছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই এই পরিণতি হবে সকলের?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE