বিধানসভার অধিবেশন ডেকে তিনি অবিলম্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে চান। কিন্তু রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের এই প্রস্তাবে এখনও সায় দেননি রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। কাজ হয়নি জয়পুরের রাজভবনে কংগ্রেস বিধায়কদের ধর্নাতেও। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেল ৪টেয় ফের রাজভবনে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৈঠক পিছিয়ে গিয়েছে বলে রাজ্যপালের দফতর সূত্রের খবর।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার দিনভর রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ, অবস্থান করেছেন রাজস্থান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। রাজধানী জয়পুরের পাশাপাশি কোটা, জোধপুর, উদয়পুরের মতো শহরে হয়েছে আন্দোলন। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজভবনকে কাজে লাগিয়ে গহলৌত সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত মরুরাজ্যের রাজনীতির লড়াইকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাওয়ারও বার্তা দিয়েছেন। কংগ্রেস বিধায়ক ও নেতাদের এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ভবন বা প্রধানমন্ত্রীর বাংলোর বাইরে আমরা ধর্নায় বসব।"
হাইকোর্টের নির্দেশে সচিন পাইলট-সহ ১৯ জন বিদ্রোহীর বিধায়কপদ আপাতত সুরক্ষিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গহলৌত শিবির চাইছে দ্রুত বিধানসভার অধিবেশন ডেকে আস্থাপ্রস্তাব পাশ করিয়ে নিতে। পরিষদীয় বিধি অনুযায়ী সে ক্ষেত্রে ছ’মাস সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে রাজ্যপাল দ্রুত বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে রাজি হননি বলে রাজভবন সূত্রের খবর. রাজ্যপাল যুক্তি দিয়েছেন, সাধারণ ভাবে পরিষদীয় বিধি মেনে অন্তত ২১ দিন সময় প্রয়োজন। বিজেপি বা অন্য কোনও বিরোধী শিবির রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাবও আনেনি। এই পরিস্থিতিতে কেন বিধানসভার অধিবেশন ডাকা প্রয়োজন, সে বিষয়ে মন্ত্রিসভার কাছে ছ’দফা প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন রাজ্যপাল।