Advertisement
০২ মে ২০২৪

কৃষকদের পরে পথে শ্রমিকেরাও

বলা হবে, ফসলের উপযুক্ত দাম না দেওয়া, গোরক্ষক বাহিনীর তাণ্ডব, গবাদি পশু নিধনে নিষেধাজ্ঞার ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছে কৃষকরাই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ০৪:০৯
Share: Save:

কৃষকদের পাশে এ বার শ্রমিকরাও। মধ্যপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্রে চাষিদের বিক্ষোভের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদীর মাথা ব্যথা বাড়িয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলি রাস্তায় নামছে।

শুধু শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নয়। তার সঙ্গে কৃষকদের সমস্যা নিয়েও সোচ্চার হবে ট্রেড ইউনিয়নগুলি। বলা হবে, ফসলের উপযুক্ত দাম না দেওয়া, গোরক্ষক বাহিনীর তাণ্ডব, গবাদি পশু নিধনে নিষেধাজ্ঞার ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছে কৃষকরাই। কংগ্রেস, বাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্লক, মহকুমা, জেলা স্তর থেকে আন্দোলন শুরু হবে। দেড় মাস ধরে এই কর্মসূচির পরে ৮ অগস্ট দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সম্মেলন হবে। সেখান থেকেই ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনের কর্মসূচি ও ফেব্রুয়ারিতে শিল্প ধর্মঘটের পরিকল্পনা ঘোষণা হতে পারে। এর মধ্যেই চলতি মাসে কয়লা ও তামার খনিতে ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:কেন্দ্রের ‘উপদেশে’ সবই বন্ধ গর্ভবতীর

কৃষকদের সমস্যা নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলি সোচ্চার হবে কেন? আইএনটিইউসি-র জি সঞ্জীব রেড্ডি থেকে এআইটিউসি-র গুরুদাস দাশগুপ্তর মতো নেতাদের যুক্তি, কৃষকরাও তো শ্রমজীবী। ফলে তাঁদের সমস্যা তুলে ধরতে বাধা কোথায়! শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, নোট বাতিলের সব থেকে বড় ধাক্কা শ্রমিক ও কৃষকদের উপরেই এসেছিল। এমনিতেই পরপর দু’বছরের খরার ধাক্কায় চাষিরা ঋণগ্রস্ত। তা সত্ত্বেও রেকর্ড পরিমাণ ফসল ফলিয়েছেন তারা। কিন্তু মোদী সরকার ফসলের উপযুক্ত দাম দিচ্ছে না। অথচ লোকসভা ভোটে বিজেপির ইস্তেহারে বলা ছিল, ফসলের খরচের দেড় গুণ করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঠিক হবে। মোদী সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি।

ইউপিএ-জমানায় সঙ্ঘ-পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস, কংগ্রেসের আইএনটিইউসি এককাট্টা হয়ে আন্দোলন করত। মোদী জমানাতে বিএমএসও প্রথম দিকে এই জোটে ছিল। বিজেপি-আরএসএস নেতৃত্ব তাতে আপত্তি তোলেননি। এর পিছনে দু’টি কৌশল ছিল। এক, বিরোধিতার মঞ্চের রাশও আরএসএস-এর হাতেই রাখা। দুই, শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের ক্ষোভকে প্রশমিত করা। কিন্তু বাকি সব শ্রমিক সংগঠন শিল্প ধর্মঘটে গেলেও বিএমএস তাতে রাজি হয়নি। তার পর থেকেই বিএমএস দলছুট। তাতে অবশ্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে সুবিধাই হয়েছে বলে দাবি করছেন সিটু নেতা তপন সেন। তাঁর মতে, বিএমএস-কে পাশে রাখার তাগিদে কোথাও আপস করার প্রয়োজন পড়ছে না। তারই ফলশ্রুতি হল, আগামী ১৯ থেকে ২১ জুন কয়লা ক্ষেত্রে ধর্মঘট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE