গাজি তুফাইল হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে দিনদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা।
আজ দুপুরে করিমগঞ্জের ভাঙ্গা এলাকার মর্কজ উলুম মাদ্রাসা চত্বরে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় কম্পিউটার দোকানের মালিক মাতাবুর রহমানকে। কয়েক দিন ধরেই তিনি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁকে হুমকি দিচ্ছে বলে আত্মীয়-বন্ধুদের জানিয়েছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আচমকা তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় কয়েক জন দুষ্কৃতী। একের পর এক আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন মাতাবুরবাবু। চোখের সামনে ওই ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পথচারীরা। সেই সুযোগে গা-ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জন আততায়ীদের চিনতে পেরেছেন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন। ঘটনার জেরে ভাঙ্গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। করিমগঞ্জের ডিএসপি সদর রণবীর শর্মা অবরোধ প্রত্যাহার করতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তবে পরে অবরোধ উঠে যায়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইসলাম উদ্দিন নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি মাছলি গ্রামে। অভিযোগ ৬-৭ বছর আগের একটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল ইসলামের ভাই শামিম আহমেদ, মুমিন আহমেদ, ইমান আহমেদ। ওই ঘটনার পর নিহত নাজের বাবা গাজি তুফাইল আহমেদের নেতৃত্বে এক দল লোক বদরপুরে অনেক বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল। গাজি তুফাইলকেও গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন মাতাবুর রহমান।
ভাঙ্গার জেলা পরিষদ সদস্য কমরুল হকের অভিযোগ, নাজ-তুফাইল হত্যাকাণ্ডে জড়িতরাই মাতাবুরকে খুন করেছে। পুলিশ জানায়, এ দিন ধৃত ইসলামকে জেরা করা হচ্ছে। করিমগঞ্জের সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস, বিজেপি নেতা বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য দ্রুত আততায়ীদের গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy