Advertisement
E-Paper

১০ লক্ষ টাকা পণ দিতে পারেনি বাপের বাড়ি, বধূকে এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ফোটালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন!

মহিলার বাবার অভিযোগ, থানার দ্বারস্থ হলেও অভিযোগ নিতে চায়নি তারা। তার পর শেষে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে মহিলার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:২১
মহিলাকে এইআইভি সংক্রমিত সুচ ফোটানোর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।

মহিলাকে এইআইভি সংক্রমিত সুচ ফোটানোর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।

দাবিমতো পণের ১০ লক্ষ টাকা দিতে পারেননি বাপের বাড়ির লোকেরা। সেই ‘অপরাধে’ বধূকে নির্যাতনের পর এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ফুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরে। আদালতের নির্দেশে বধূর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

সাহারনপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সাগর জৈন বলেন, ‘‘আক্রান্ত মহিলা সাহারনপুরের বাসিন্দা। আমরা তাঁর স্বামী, দেওর, ননদ এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা, বিষপ্রয়োগ করে খুনের চেষ্টা-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি।’’ শুধু তা-ই নয়, আলাদা ভাবে পণ সংক্রান্ত মামলাও দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পুঙ্খানুপঙ্খ ভাবে তদন্ত করা হবে। ঘটনাটি গত বছরের মে মাসের। নির্যাতিতার বাবা আদালতে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে কন্যার বিয়ে দিয়েছিলেন। জামাইকে একটি এসইউভি, ১৫ লক্ষ টাকা নগদও দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পরেও আরও ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে তাঁর কন্যার উপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক মাসের মধ্যে মহিলাকে বাড়ি থেকে বার করে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তার পর পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা হয়। আবার মহিলাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁর স্বামী।

মহিলার বাবার অভিযোগ, তার পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। জোর করে তাঁর কন্যাকে এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ব্যবহার করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পর থেকেই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পর জানা যায় মহিলা এইচআইভি পজ়িটিভ। তাঁর স্বামীরও পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় তিনি এইচআইভি নেগেটিভ। মহিলার বাবার অভিযোগ, থানার দ্বারস্থ হলেও অভিযোগ নিতে চায়নি তারা। তার পর শেষে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে মহিলার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।

dowry HIV Uttar Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy