মহিলার অভিযোগ, গত ২০ মার্চ রাত ১০টা নাগাদ শৌচকর্মের জন্য ভুট্টা ক্ষেতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় গ্রামের শঙ্কর দাস, পিন্টু দাস, প্রদীপ দাস এবং অভয় দাস তাঁকে অনুসরণ করে সেখানে যান।
মহিলাকে সালিশি সভায় ডাকার পর মারধর করা হয়।
সালিশি সভায় ডেকে মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হল। শুধু তাই নয়, মহিলা অচৈতন্য না হওয়া পর্যন্ত পেটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি বিহারের মাধেপুরার।
মহিলার অভিযোগ, গত ২০ মার্চ রাত ১০টা নাগাদ শৌচকর্মের জন্য ভুট্টা ক্ষেতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় গ্রামের শঙ্কর দাস, পিন্টু দাস, প্রদীপ দাস এবং অভয় দাস তাঁকে অনুসরণ করে সেখানে যান। এত রাতে ক্ষেতে কী করতে এসেছেন, তাঁকে এই প্রশ্ন করতে শুরু করেন পিন্টুরা। তিনি কী করতে এসেছেন তা জানানোর পরেও জোর করে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয় যে অন্য পুরুষের সঙ্গে ক্ষেতে এসেছিলেন। এই অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করতেই মহিলা প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তখন তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই চার জন। বিষয়টি গ্রামের কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন পিন্টুরা।
মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। রাতের ঘটনার কথা শ্বশুরকে জানান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই মহিলাকে ব্যাভিচারী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সালিশি সভাও ডাকেন পিন্টুরা। এর পরই ভরা সভায় সকলের সামনে আগুনের মধ্যে লাঠি গরম করে সেই লাঠি দিয়ে মহিলাকে নৃশংস ভাবে মারা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর কাপড় টেনে খুলে নেওয়া হয়। সেই অবস্থাতেও তাঁর উপর লাঠি চলতে থাকে। তত ক্ষণ চলেছিল, যত ক্ষণ না তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন। জখম অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে তাঁর স্বামী গ্রামে আসেন এবং বৃহস্পতিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ভারতের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিহার পুলিশের ডিজি-কে চিঠি লিখে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার কথা বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy