Advertisement
০২ মে ২০২৪
Pune

বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন ঠাকুমা, বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দিল নাতি!

নিজেদের বাঁচাতে অভিযুক্তরা প্রতিবেশীদের কাছে দাবি করেছিলেন, বৃদ্ধা নিরুদ্দেশ। বৃদ্ধার নামে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন তাঁরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
পুণে শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:০৫
Share: Save:

বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলেন ঠাকুমা। তাই বাবার সহায়তায় তাঁকেই মেরে ফেলল নাতি! শুধু তা-ই নয়, ঠাকুমাকে খুন করে তাঁর দেহাংশগুলি কেটে, চটের ব্যাগে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বৃদ্ধার নাতি এবং ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণেতে।

৬২ বছরের ঊষা গায়কোয়াড় মনোমালিন্যের কারণে ছেলেকে তাঁর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ছেলে এবং নাতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাড়িটির মালিকানা দাবি করছিলেন এবং ওই বৃদ্ধার কাছে থাকা গয়নাগুলিও হাতাতে চেয়েছিলেন। বৃদ্ধা তাতে সম্মত হননি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে আর নাতি মিলে বৃদ্ধাকে খুনের ছক কষেন। বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর প্রমাণ লোপের জন্য বৈদ্যুতিক কুঠারের মাধ্যমে বৃদ্ধার দেহ কেটে খণ্ড খণ্ড করে চটের ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ থেউর অঞ্চলে মুথা নদীর পার থেকে দেহাংশ ভর্তি চটের ব্যাগটি উদ্ধার করেছে।

নিজেদের বাঁচাতে অভিযুক্তরা প্রতিবেশীদের কাছে দাবি করেছিলেন, বৃদ্ধা নিরুদ্দেশ। বৃদ্ধার নামে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মৃত বৃদ্ধার মেয়ের সন্দেহ হওয়ায় তিনি বৃদ্ধার নাতি এবং ছেলের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, অভিযুক্তদের মধ্যে বৃদ্ধার ছেলে দোষ কবুল করেন। তিনি জানান, নাতিই বৃদ্ধাকে হত্যা করেছেন। প্রমাণ লোপাটে তিনি নিজের ছেলেকে সাহায্য করেছেন মাত্র। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের দায়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pune Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE