তিনি এখনও বেঁচে আছেন। শোরুমে গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এ বার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তরুণী। বললেন, ‘‘আমি বেঁচে আছি। আমার মৃত্যুর খবর যে ভাবে চারদিকে রটানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও মৃত্যুর খবর দেখানো হয়েছে। বেশ কিছু ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ঘুরছে, যেখানে আমার মৃত্যু নিয়ে নানা কিছু বলা হয়েছে।’’
তাঁর মৃত্যুর খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে তরুণী জানিয়েছেন, এ ভাবে এক জন জলজ্যান্ত মানুষকে যে সহজেই মেরে ফেলা যায়, আর সেই খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ল, লাইক, শেয়ার হল, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যের। ঠিক কী ঘটেছিল সে দিন, সেই ঘটনারও বিবরণ দিয়েছেন তরুণী।
তরুণীর নাম মণি পওয়ার। উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের বাসিন্দা। দিন দুয়েক আগে তিনি পূর্ব দিল্লির নির্মাণ বিহারের একটি এসইউভির শোরুমে গাড়ি কিনতে এসেছিলেন সপরিবার। সাধারণত কোনও গাড়ি কেনার পর অনেকেই কিছু রীতিনীতি মানেন। কখনও গাড়ির সামনে নারকেল ফাটিয়ে পুজো দেওয়া হয়। কখনও আবার গাড়ির চাকার নীচে লেবু রেখে তার উপর দিয়ে চালানো হয়— এ রকম কিছু প্রচলিত রীতিতে অনেকেই বিশ্বাস করেন।
আরও পড়ুন:
মণি জানিয়েছেন, গাড়ির শোরুম ছিল দোতলায়। পরিবারসমেত সেই গাড়িতে ওঠেন। শোরুমের এক জন কর্মীও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। গাড়ির চাকার সামনে লেবু রাখা হয়েছিল। সেই লেবু উপর দিয়ে চাকা নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মণি। তিনিই চালকের আসনে ছিলেন। ফলে দোতলা থেকে গাড়িটি নীচে পড়ে উল্টে যায়। তবে এই ঘটনায় কেউই হতাহত হননি। গাড়িটির ছাদ মাটিতে আর চাকাগুলি ছিল শূন্যে। ২৭ লাখ মূল্যের সেই গাড়ির প্রথম দিনের এই অবস্থার ছবি সমাজমাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গে গাড়ির সওয়ারিদের নিয়েও নানা খবর ছড়াতে শুরু করে। গাড়িচালকের মৃত্যু হয়েছে এই খবরও ছড়ায়। চার দিকে যখন এই গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা চলছে, তখন গাড়ির মালিক মণি নিজে প্রকাশ্যে এসে জানালেন, তিনি মরেননি।