অযোধ্যার উৎসবে যোগী আদিত্যনাথ। ছবি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সৌজন্যে।
রাম আসছেন। তাঁরই অপেক্ষায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একা তিনি নন। সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার পর্যটন মন্ত্রী। এমনকী, রাজ্যপালও রামকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছেন। একা রাম নন, সঙ্গে রয়েছেন সীতা এবং লক্ষ্মণও।
এ চিত্র বুধবার বিকেলের অযোধ্যায়। ‘রামলীলা’র চরিত্রাভিনেতারা সরকারি চপারে চেপে বিকেলেই নামলেন সরযূ নদীর ধারে। আর তাঁদের স্বাগত জানাতেই সেখানে উপস্থিত উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েক, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং পর্যটন মন্ত্রী রীতা বহুগুণা জোশী। উপলক্ষ ‘দীপোৎসব’।
এর পরেই সকলে মিলে কাছের মঞ্চে সার বেধে যান। সবার আগে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। শুরু হয় সরযূর তিরে আরতি। সেখানেও মুখ্য ভূমিকায় যোগী আদিত্যনাথ। দীপাবলি উপলক্ষে প্রশাসনের তরফে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা অযোধ্যা নগরী। প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
‘নোটবন্দি নিয়ে মোদী ক্ষমা চাইলে, আমার সেলাম জানাব’
আর ঠিক তার পরই অযোধ্যাকে সরাসরি রামরাজ্য ঘোষণা করেন যোগী। তিনি বলেন, ‘‘রামরাজ্য বলতে কী তা শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বকে চিনিয়েছে এই অযোধ্যা। রামরাজ্য মানে প্রতিটা বাড়িতেই বিদ্যুৎ এবং রান্নার গ্যাস। রামরাজ্য হিসাবে অযোধ্যার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা উচিত।’’
সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে, এই দীপোৎসব আয়োজনের প্রধান কারণ, অযোধ্যাকে দেশের ধর্মীয় মানচিত্রে অন্যতম জায়গা হিসাবে পরিচিতি দেওয়া। আর বিরোধীদের কটাক্ষ, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ফের রামজন্মভূমিকে ইস্যু করে তুলতেই বিজেপি-র এই আয়োজন।
আরও পড়ুন
তালিবান হানার মধ্যেই কাবুলে দৌত্য ডোভালের
বিজেপি যদিও সে সব উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, অশুভের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার উদ্যাপনই এই উৎসব। সেই উৎসব যদি পালন করা হয়, তার মধ্যে দোষের কী আছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy