বারাণসী, ১৩ মার্চ: ধর্মস্থানে লাউডস্পিকার ও হোলির উদ্যাপনে চড়া শব্দের ডিজে বাজানো নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হোলির আগে আজ বারাণসীর সার্কিট হাউসে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলি নিয়ে সরকারি কর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন যোগী। সেখানেই তিনি নির্দেশ দেন, ধর্মস্থানে বসানো লাউডস্পিকারের শব্দ নিয়ন্ত্রণের পাকাপাকি বন্দোবস্ত করতে হবে। একই সঙ্গে হোলিতে তারস্বরে ডিজে বাজানো কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
হোলিকা দহন এবং হোলি উপলক্ষে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। হোলির শোভাযাত্রা ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা এড়াতে আলিগড়ের একাধিক মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত। গত বছরেও এমনটা করা হয়েছিল বলে প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন। শাহজাহানপুরেও মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছে
ত্রিপল দিয়ে।
আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও যোগী এ দিন একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক, দোকান ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, গবাদি পশু পাচারকারী-সহ স্মাগলার ও অসৎ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, প্রত্যেক থানা এলাকার সবচেয়ে কুখ্যাত দশ জন অপরাধীকে চিহ্নিত করা ইত্যাদি। বিশেষত উত্তরপ্রদেশে গরু পাচার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে কি না, সেই বিষয়টির জেলাওয়াড়ি পর্যালোচনা করার উপরে জোর দেন তিনি। এর পাশাপাশি, বারাণসী জেলার কর্মরতা মহিলাদের জন্য হস্টেল এবং ন্যায্য মূল্যের ক্যান্টিন চালু, গমের ক্রয়কেন্দ্রে কৃষকদের বসার যথাযথ বন্দোবস্ত, তাঁদের সস্তায় খাবার ও নিখরচায় পানীয় জল সরবরাহ করতে বলেছেন তিনি। নির্মীয়মাণ প্রকল্পগুলির নজরদারিতে নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যোগী। বারণসীর উড়ালপুলগুলির থামগুলিকে শিল্পকর্মে চিত্রিত করা এবং বিজ্ঞাপনের স্তম্ভ হিসেবে সেগুলিকে ব্যবহার করা, হকারদের ব্যবসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রীষ্মের কথা মাথায় রেখে নিরবিচ্ছিন্ন জল সরবরাহ নিশ্চিত করার উপরেও তিনি জোর দেন। সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)