আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান, শীর্ষ নেতা-সহ খতম ১০ মাওবাদী
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই যুবকরা আশিসকে ঘিরে ধরে। তার পরই হঠাত্ রড দিয়ে মারতে শুরু করে তাঁকে। আশিস রাস্তায় পড়ে গেলে ওই যুবকদের মধ্যে থেকেই কয়েক জন তাঁকে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এর পরই সেখান থেকে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
রক্তাক্ত অবস্থায় আশিস রাস্তায় পড়ে থাকেন। বাইকে সওয়ার যুবকরা চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী আশিসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, আশিসের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁর শরীরে ৫০টি গভীর ক্ষত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঘ-ভাল্লুকের ধুন্ধুমার লড়াই, কে জিতল? দেখুন ভিডিও
কেন আশিসকে এমন ভাবে আক্রমণ করা হল সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গায়ে জলভর্তি বেলুন ছোড়াকে কেন্দ্র করে ওই দিন সকালে এক কিশোরকে মারধর করছিল ওই দলের কয়েক জন যুবক। আশিস সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে। সেই ঘটনার জেরেই আশিসের উপর এ ভাবে হামলা চালায় ওই যুবকরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যখন ঘটনাটা ঘটছে সে সময় পুলিশকে তাঁদের মধ্যে থেকেই কেউ এক জন ফোন করেন। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার এক ঘণ্টা পরে পুলিশ আসে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারও হয়নি।
শুধু ওই দিনের ঘটনাই নয়, রাজধানীতে আইনের শাসন যে কতটা শিথিল তার প্রমাণ দু’দিন আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের লক্ষ্য করে বীর্যভর্তি বেলুন ছোড়ার ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রীরা দিল্লি পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ করলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।