অসম প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হলেন অঞ্জন দত্ত। প্রায় এক বছরের টানাপড়েনের পরে আজ সনিয়া গাঁধী অঞ্জনবাবুর নাম চূড়ান্ত করেন।
প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী অঞ্জনবাবু শিবসাগরের আমগুড়ির বিধায়ক। প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের বিরোধী শিবিরে থাকলেও পরে গগৈয়ের দিকেই চলে আসেন অঞ্জনবাবু। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তরুণ গগৈকে অপসারণের জন্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ বিধায়করা যখন চূড়ান্ত সক্রিয়, তখন অঞ্জনবাবু গগৈয়ের পক্ষে দিল্লিতে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। বিক্ষুব্ধ তিন মন্ত্রীর দু’জন অপসারিত হয়েছেন। একজন ইস্তফা দিয়েছেন। বিক্ষুব্ধরা এখন স্তিমিত।
এই পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতার সঙ্গে গগৈয়ের মনোমালিন্য সামনে আসে। মন্ত্রিসভায় রদবদল প্রসঙ্গেও গগৈয়ের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে যান কলিতা। কলিতার পরে সভাপতি পদে প্রদ্যোৎ বরদলৈ, রিপুন বরা-সহ একাধিক নাম উঠে এলেও শেষ অবধি পোড় খাওয়া রাজনীতিক তথা সাংবাদিক অঞ্জনবাবুকেই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। বিধানসভায়, এমনকী নিজের দলের কাজের বিরুদ্ধে সরব এই বিধায়ক-নেতা সুলেখক হিসেবেও অসমে পরিচিত।
তবে সারদা তদন্তে অঞ্জনবাবুর নাম জড়িয়েছে। সিবিআইকে লেখা সুদীপ্ত সেনের ‘চিঠিতে’ মোটা টাকা নেওয়ার জন্য অঞ্জনবাবুকে দায়ী করা হয়। প্রথমে গুয়াহাটিতে, পরে কলকাতায় সিবিআই তদন্তকারীদের জেরার মুখোমুখি হন তিনি। ইডিও তাঁকে জেরা করে। অঞ্জনবাবু সাফ জানান, প্রকাশনা ব্যবসায়ী হিসেবে সুদীপ্ত সেনের একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করার জন্য তাঁর সঙ্গে সারদার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সুদীপ্ত সেন তাঁকে যে চেকগুলি দিয়েছিলেন তা বাউন্স করে। তাই তিনি প্রতারক নন, বরং প্রতারিতের দলে। সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে তিনি আজ বলেন, তাঁর উপরে আস্থা রেখে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা যথাসাধ্য পালন করার ও দলকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা তিনি করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy