Advertisement
E-Paper

এ বার ওয়েবসাইটে মিলবে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের ফোন নম্বর

দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে যে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে মোবাইল ফোনে। এ বার থেকে এমনই ব্যবস্থাই করতে চলেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। দেশের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের মোবাইল নম্বর মন্ত্রক নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। বিভিন্ন প্রয়োজনে পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপ-প্রধানের ফোন নম্বর যদিও বা মেলে, পঞ্চায়েতের সদস্যদের নম্বর মেলা দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। অথচ পঞ্চায়েতের দৈনন্দিন কাজে সাধারণ সদস্যদের ভূমিকা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৩৭

দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে যে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে মোবাইল ফোনে। এ বার থেকে এমনই ব্যবস্থাই করতে চলেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। দেশের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের মোবাইল নম্বর মন্ত্রক নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে।

বিভিন্ন প্রয়োজনে পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপ-প্রধানের ফোন নম্বর যদিও বা মেলে, পঞ্চায়েতের সদস্যদের নম্বর মেলা দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। অথচ পঞ্চায়েতের দৈনন্দিন কাজে সাধারণ সদস্যদের ভূমিকা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ওয়েবসাইটে এই সব মোবাইল নম্বর দেওয়া হলে যোগাযোগ সমস্যার সমাধান হবে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দাবি।

মাসখানেক আগে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রতিটি রাজ্য সরকারকে জানায়, তারা যেন প্রতিটি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারী এবং সাধারণ সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থায়ী কর্মী এবং আধিকারিকদের মোবাইল নম্বরও পাঠানোর জন্য বলে দেয় তারা। মোবাইল নম্বর হাতে পাওয়ার পরে সেগুলি মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। ওয়েবসাইট দেখে একদিকে মানুষ যেমন তাঁদের প্রয়োজনমত ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পদাধিকারী, সদস্য এবং সরকারি আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন, তেমনই বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে যে কেউ তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে এই ভাবেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে মানুষের হাতের নাগালে আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

মন্ত্রক সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসেই মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অধিকাংশ রাজ্যই তা করে উঠতে পারেনি। ফলে আগামী ১৫ অগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করার কাজ চলছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই তা দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

যোগাযোগের উন্নতিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এমন ব্যবস্থা নিলেও, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের মোবাইল নম্বর পাওয়া অবশ্য দুরূহ ছিল না। এ রাজ্যে তার উদাহরণও রয়েছে। বামফ্রন্ট আমলের শেষ দিকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের মোবাইল নম্বর সংবলিত ডাইরেক্টরি প্রকাশ করেছিল। বিভিন্ন জেলা পরিষদও প্রতি বছর তাদের নিজস্ব ডায়েরি প্রকাশ করে। তাতে জেলা পরিষদের পদাধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারী এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের মোবাইল নম্বর থাকে।

তাহলে সমস্যা কোথায়?

এ ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর বা জেলা পরিষদের এই সব ডাইরেক্টরি, ডায়েরি ছাপা হয় অনেক কম সংখ্যায়। ফলে তা আমজনতার হাতে পৌঁছয় না। সে দিক নতুন ব্যবস্থায় সেই সমস্যা আর থাকবে না। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত কোনও ডায়েরি বা ডাইরেক্টরিতেই জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের মোবাইল নম্বর বা ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের আধিকারিক ও কর্মীদের মোবাইল নম্বর থাকত না। এই প্রথম সেটাও করতে চলেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

website gram-panchayat member phone number nurul absar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy