জঙ্গি হামলায় এসপি এবং দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অসমে শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিরোধী এবং শাসক দলের মুখ্যমন্ত্রী-বিরোধী পক্ষ এ নিয়ে গগৈয়ের সমালোচনায় সরব হয়েছে। অন্য দিকে, উত্তর-পূর্বে সংঘর্ষ বিরতির সুযোগ নিয়ে পরের পর জঙ্গি সংগঠন ভেঙে নতুন গোষ্ঠীর উৎপত্তি নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় সরকার। তাই যে কোনও শান্তি আলোচনা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গগৈয়ের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকের পরে অসম পুলিশের দায়বদ্ধতা ও দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় যুগ্ম-স্বরাষ্ট্র সচিব শম্ভু সিংহ জানান, কার্বি আংলংয়ে তিন মাস কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। আজ রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা নিহত দেহরক্ষীর বাড়ি গিয়ে স্বরাষ্ট্র বিভাগের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হন। কার্বি আংলং স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী আধিকারিক তুলিরাম রংহাং বলেন, “গত সপ্তাহেই অতিরিক্ত বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরে আবেদন জানান নিহত এসপি। কিন্তু তা মেলেনি। কম সংখ্যক রক্ষী নিয়েই তাঁকে বারবার জঙ্গি দমন অভিযানে যেতে হচ্ছিল।” ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গগৈ। অসমে আলফা, এনডিএফবি, ইউপিডিএস, কেএনএলএনএফ, ডিএইচডি-র সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি জঙ্গি দল ভেঙে নতুন গোষ্ঠী তৈরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। রিজিজু বলেন, “সংঘর্ষ বিরতি ও শান্তি আলোচনার নামে জঙ্গি সংগঠনকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রেখে দিলে, দলে বিপরীত স্রোত তৈরি হয়। তারা ফের বিদ্রোহ করে। তাই প্রক্রিয়া যুক্তিসঙ্গত ও ত্বরাণ্বিত করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy