ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে ওড়িশায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। গত সপ্তাহে ভারী বর্ষণের জন্য মহানদীর জল বিপদসীমা পেরিয়ে যায়। ফলে মহানদীর ব-দ্বীপ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হয়। মহানদীর জলোচ্ছ্বাসে কটক, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপড়া, খুর্দা ও পুরীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। মহানদী ছাড়াও ফুঁসে উঠেছে সুবর্ণরেখা, ব্রাহ্মণী, বৈতরণীর মতো নদীগুলিও। বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ফোনে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপারে কথা বলে তাঁকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। রাজনাথ লোকসভায় জানিয়েছেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা ওড়িশা পৌঁছে গিয়েছেন। ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যাপীড়িতদের বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করতে ২৪০টি রান্নাঘর করা হয়েছে।
তবে বিশেষ ত্রাণ কমিশনার পি কে মহাপাত্র জানিয়েছেন, ওড়িশায় আর নতুন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। কয়েকটি অঞ্চলে মহানদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইলেও বিশাল ক্ষতির আশঙ্কা নেই। হীরাকুঁদ জলাধারে জলের পরিমাণ স্বাভাবিক হচ্ছে।