Advertisement
E-Paper

গগৈয়ের ছেলের প্রার্থীপদ নিয়ে ক্ষোভ অসমে

মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র গৌরব গগৈকে কলিয়াবরে প্রার্থী করার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পুত্র পরভেজ আহমেদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৪ ০৪:৩৯

মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র গৌরব গগৈকে কলিয়াবরে প্রার্থী করার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পুত্র পরভেজ আহমেদ। অন্য দিকে, রাজ্যসভা ভোটে হারার পরে আরও কখনও রাজনীতিতে নামবেন না ঘোষণা করেও, ফের গৌরব গগৈয়ের বিরুদ্ধে সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী হিসেবে এআইইউডিএফ আজ হায়দর হুসেনের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। হায়দর হুসেন অবশ্য এখনও তাঁর পুরনো সিদ্ধান্তেই অনড়।

কলিয়াবরে গৌরবের দাঁড়ানো নিয়ে পরভেজ ও হায়দর এক মেরুতে। দু’জনেরই বক্তব্য, কেবল মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে হওয়াই ভোট লড়ার একমাত্র যোগ্যতা হতে পারে না। তবে পরভেজ বরপেটা থেকে ভোটে দাঁড়াবার সম্ভাবনার কথা বললেও হায়দর জানিয়ে দেন তিনি বাইরে থেকেই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন।

দিল্লিবাসী চিকিৎসক পরভেজ প্রথমে কংগ্রেস থেকেই বরপেটায় দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় তাঁর গোঁসার নিশানা হন গৌরব। পরভেজ বলেন, “গৌরব ভাল ছেলে। কিন্তু রাজ্যের জন্য ওর অবদান কী? আমি এই পরিবারকেন্দ্রীক রাজনীতিতে ক্লান্ত।”

কংগ্রেস ছাড়ার হুমকি দিয়ে অসমে এসে তিনি গত কালই এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের সঙ্গে দেখা করেন। তবে পরভেজ একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে জানিয়ে মন্তব্য করেন, “আমার মতের সঙ্গে মেলে এমন কোনও দলের হয়ে লড়তে চাই। তবে শেষ অবধি কোনও দলের হয়ে না লড়লেও, নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়াতে পারি। আমার মা ও বাবা দু’জনই বরপেটা থেকে লড়েছেন। তাই আমিও এই আসনেই লড়তে চাই।” বরপেটার মেডিক্যাল কলেজটিও তাঁর বাবার নামে। তবে বরপেটা আসন নিয়ে মূল লড়াই চলছে এআইইউডিএফ নেতা শেরমান আলি ও সিরাজুদ্দিন আজমলের মধ্যে। তাই চাইলেও পরভেজ সেই দলের হয়ে বরপেটার টিকিট পাবেন না। অগপ বরপেটায় ফণীভূষন চৌধুরীকে ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

এআইইউডিএফ আনুষ্ঠানিক ভাবে ধুবুরিতে বর্তমান সাংসদ বদরুদ্দিন ও করিমগঞ্জে রাধেশ্যাম বিসওয়ামের নাম ঘোষণা করলেও, বরপেটার প্রার্থী নিয়ে তারা এখনও কিছু জানায়নি। তবে আজ কলিয়াবরে গৌরব গগৈয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সকাল বেলাতেই এআইইউডিএফের কার্যনির্বাহী সভাপতি আদিত্য লাংথাসা বলেন, “গৌরবের বিরুদ্ধে আমরা সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী হিসেবে হায়দর হুসেনের নাম প্রস্তাব করছি। রাজ্যসভার নির্বাচনে কিছু বিধায়ক অন্যায়ভাবে হায়দরকে হারাবার চক্রান্তে সামিল হয়েছিলেন। আশা করি এ বার সাধারণ মানুষ তাঁকে জেতাবেন।”

যদিও এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই খোদ হায়দর ঘোষণা করেন, “রাজ্যসভায় একজন বহিরাগত এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি সঞ্জয় সিংহ প্রার্থী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ সব বিরোধীর সর্বতো সাহায্যের আশ্বাস পেয়ে আমি লড়তে নামি। কিন্তু সেখানে যে কূটনৈতিক খেলা চলে তাতে আমি আহত। ওই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। অগপর প্রফুল্ল মহন্ত এবং বদরুদ্দিন সাহেব আমায় ফোন করে লোকসভায় লড়তে বললেও আমি রাজি হইনি। আমি লোকসভায় লড়ব না।”

tarun gogoi gaurav gogoi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy