Advertisement
E-Paper

ত্রিপুরায় ফের ভোটের দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের

ত্রিপুরার দু’টি লোকসভা আসনে ফের ভোট করানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল প্রদেশ কংগ্রেস। আজ রাজ্যের ২৩টি মহকুমা এবং দুই জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৪ ০৪:৩৭

ত্রিপুরার দু’টি লোকসভা আসনে ফের ভোট করানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল প্রদেশ কংগ্রেস। আজ রাজ্যের ২৩টি মহকুমা এবং দুই জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা।

প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আশিস সাহা বলেন, ‘‘মহকুমা অফিস ছাড়া পশ্চিম ত্রিপুরা এবং ধলাইয়ের জেলাশাসকের দফতরের সামনে আন্দোলন করা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ওই দুই জেলাশাসক ত্রিপুরার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার।

রাজ্যে লোকসভা ভোটের পর থেকেই ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ‘ভূমিকা’ নিয়ে বিরোধী শিবির সমালোচনায় সরব হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্যের অনেক বুথেই ‘রিগিং করা হয়। ভিডিও রেকর্ডিং-সহ তার প্রমাণ নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল ত্রিপুরা পশ্চিম এবং ১২ এপ্রিল ত্রিপুরা পূর্ব আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।

প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যের দু’টি আসনে ‘আপাত শান্তিপূর্ণ’ ভোট গ্রহণের কথা জানিয়েছে কমিশন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। শাসক দলের ‘নির্দেশে’ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বুথে বুথে প্রিসাইডিং অফিসার, মাইক্রো অবজার্ভার-সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ভোটকর্মী নিয়োগ করেন। অধিকাংশ বুথেই শাসক দলের সন্ত্রাসে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টরা ঢুকতে পারেননি। সেই সুযোগে ‘রিগিং’ করা হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার থেকে শুরু করে নিরাপত্তা কর্মী প্রত্যেকেই দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।

বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর বলেন, ‘‘রাজ্যের ভোটাররা কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এটা তাঁরা বুঝতে পারছেন। তাই রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে কংগ্রেস।’’

ঘূর্ণিঝড়ে গৃহহীন ৫০০ পরিবার। ধলাই ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আমবাসা ও জিরানিয়ায় গত রাতে এক আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় দেড় হাজার বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। জিরানিয়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামে সন্ধ্যারানি দেববর্মা নামে ৫২ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থাতেই ঘর চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মোট প্রায় পাঁচশো বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়ায় ওই পরিবারগুলি এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছে। হাজার খানেক বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

tripura vote
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy