প্রাক্তন দুই মন্ত্রী পবনকুমার বনশল ও সুবোধকান্ত সহায়কে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী করল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলিকেও ফের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। রেল ঘুষ কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে তাঁর ভাগ্নে হাতেনাতে ধরা পড়ায় পবন বনশলকে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। একই ভাবে কয়লাখনি বণ্টন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে ইস্তফা দিতে হয় খনিমন্ত্রী সুবোধকান্ত সহায়কে। অন্য দিকে বীরাপ্পা মইলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে আম আদমি পার্টি। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা রাহুল গাঁধী হয়তো এ বার আর এঁদের প্রার্থী করবেন না।
দলের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন রাহুল। গত শনিবার কংগ্রেসের প্রথম তালিকায় ১৯৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তার পরে আজ আরও ৭১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস। প্রথম তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি আসনের জন্য প্রার্থীর নাম ছিল। কিন্তু আজকের দ্বিতীয় তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের বাকি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। কংগ্রেস সূত্র বলছে, রাজ্যের তিনটি আসনে প্রার্থীর নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তা ঠিক করে কাল-পরশুর মধ্যে বাকি প্রার্থীর নাম জানানো হবে।
আজ আর এক দফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, শাকিল আহমেদের মতো নেতারা বলেন, পবন বনশলের বিরুদ্ধে সিবিআই কোনও চার্জশিট পেশ করেনি। চার্জশিট পাননি সুবোধকান্ত সহায়ও। অভিযোগ ওঠার পরে তাঁরা যে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন, তা নেহাতই স্বচ্ছ প্রশাসনের বার্তা দিতে। তার মানে এই নয় যে তাঁরা দোষী। মজার বিষয় হল, কংগ্রেস নেতারা আজ এ কথা বললেও টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে সুবোধ নিজেই ঘোর সংশয়ে ছিলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস এবং আজসু-র মতো আঞ্চলিক দলের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে গত কাল রাতে টিকিট দেওয়া নিয়ে তাঁকে আশ্বস্ত করেন কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কংগ্রেসের দ্বিতীয় তালিকায় নজর কেড়েছেন বলিউডের অভিনেত্রী নগমা। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা মেরঠ থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। আবার ফারুকাবাদ আসন থেকে সরিয়ে এনে রাজ বব্বরকে প্রার্থী করা হয়েছে দিল্লি-লাগোয়া গাজিয়াবাদে। সেখানে বর্তমান সাংসদ বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আজহারউদ্দিনের অনুরোধও রাখলেন রাহুল গাঁধী। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে এ বার আর প্রার্থী হতে চাইছিলেন না আজহার। দলের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন মিস্ত্রী রাহুলকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতেও বলা হয়েছে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে আজহার এতটাই অপ্রিয় যে মোরাদাবাদে তাঁর জেতা কঠিন। কংগ্রেসের ডাকসাইটে সংখ্যালঘু নেত্রী নুর বানোকে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে। আবার বিজেপি লখনউয়ে তাদের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে সমস্যায় পড়লেও কংগ্রেস আজ সেখানে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী রীতা বহুগুণা জোশী সেখানে প্রার্থী হচ্ছেন। তবে কৌশলগত কারণেই বারাণসীতে প্রার্থীর নাম এখনই ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে বারাণসী আসনে প্রার্থী করে কি না দেখে তার পরই সেখানে নিজেদের প্রার্থী বাছবেন রাহুল। দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর মধুসূদন মিস্ত্রী আজ বলেন, প্রতিশ্রুতি মতো ৩৫ শতাংশ যুব নেতা-নেত্রীকে প্রার্থী করেছেন রাহুল। ১১ জন মহিলাকেও প্রার্থী করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy