সন্ধ্যা রায় ছিলেনই। এ বার বিশ্বজিৎ। ‘কুহেলি’র অমর জুটিকে লোকসভা ভোটে জোড়া লাগিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরে সন্ধ্যা, দক্ষিণ দিল্লিতে বিশ্বজিৎ।
বিশ সাল বাদ কি? মনে হয় না। সম্ভবত দীর্ঘ কয়েক দশক পর খোলা মঞ্চে উঠে গান গাইলেন ষাটের দশকের রোম্যান্টিক নায়ক। এর পর অভিজাত দক্ষিণ দিল্লির পাড়ায় পাড়ায় ভোট প্রচারে বেরোবেন। বাবার হয়ে সেই প্রচারে নাকি আসবেন আজকের নায়ক প্রসেনজিৎও।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বিশ্বজিতের নাম নিয়ে আলোচনা চলছিল গত কয়েক দিন ধরেই। গত কাল মমতা দিল্লি আসার পরেই তাঁর আসন চূড়ান্ত হয়ে যায়। সেই মতো তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রস্তুত হতে বলে দেওয়া হয় বিশ্বজিৎকে। আজ সকাল থেকেই কড়া রোদ্দুর উপেক্ষা করে রামলীলা ময়দানের মঞ্চে বসে ছিলেন বিশ্বজিৎ। মাথার টুপি থেকে পায়ের স্নিকার গোটাটাই সাদা।
প্রথম যখন বিশ্বজিতের নাম উঠে আসে, চিন্তা ছিল একটাই। ৭৮ বছরের প্রবীণ কি পারবেন ঘোর গ্রীষ্মে ভোটের ধকল নিতে? আজ কিন্তু বিশ্বজিৎ প্রমাণ করে দেন, তিনি পারবেন। আগাগোড়া রোদ্দুরে বসে থাকাই নয়, তৃণমূল নেত্রীর অনুরোধে মঞ্চে যন্ত্রসঙ্গীত সহকারে পূর্ণ উৎসাহে প্রায় নিখুঁত সুরে গাইলেন তাঁরই ‘মেরে সনম’ ছবির গান, “পুকারতা চলা হু ম্যায় / গলি গলি বাহার কি...” গায়ক নচিকেতাকে দেখে তখন মনে হল, বেশ উপভোগ করছেন। আজ মঞ্চ থেকে প্রচারের কাজও কার্যত শুরু করে দেন বিশ্বজিৎ। বলেন, “অভিনেতা জীবনে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমাকে কাজ করে যেতে হয়েছে। দিদির জন্য আমি সর্বত্র ঘুরব। এই অভ্যাস আমার পঞ্চাশ বছর আগে থেকেই রয়েছে।”
দক্ষিণ দিল্লিতে বিশ্বজিৎ ছাড়াও এ দিন গোটা দেশে মোট ত্রিশটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। উল্লেখযোগ্য মুখ, বারাণসীতে কমলাপতি ত্রিপাঠির নাতনি ইন্দিরা তিওয়ারি। আজ রামলীলার মঞ্চেই তৃণমূলে যোগ দেন পালামৌর বর্তমান জেএমএম সাংসদ কমলেশ্বর পৈঠা, যে ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন দলীয় নেতৃত্ব। গুয়াহাটিতে প্রার্থী জনপ্রিয় অসমিয়া অভিনেতা বিজু ফুকন, কোকড়াঝাড়ে মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল রঞ্জিতশেখর মুসাহিরি। ভোপালে দাঁড়াচ্ছেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরুণ ভাটনগর, ধানবাদে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রশেখর দুবে। আগামিকাল ও পরশু আরও দু’দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy