Advertisement
E-Paper

ধুবুরিতে ধরা পড়লেন আর এক সারদা-কর্তা

নামনি অসমে সারদা গোষ্ঠীর অন্যতম কাণ্ডারি, ধুবুরির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আবদুল কাদের শেখকে গ্রেফতার করেছে ধুবুরি পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালানোর অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সংস্থার যে সব ম্যানেজারের জালিয়াতিতে বাজার থেকে তোলা টাকা সারদার ভাঁড়ারে জমা পড়েনি, তাদের মধ্যে শেখ অন্যতম। গত বছর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। সারদা মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে পুলিশ গত রাতে তাকে গ্রেফতার করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৪ ০৩:২৬

নামনি অসমে সারদা গোষ্ঠীর অন্যতম কাণ্ডারি, ধুবুরির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আবদুল কাদের শেখকে গ্রেফতার করেছে ধুবুরি পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালানোর অভিযোগ রয়েছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সংস্থার যে সব ম্যানেজারের জালিয়াতিতে বাজার থেকে তোলা টাকা সারদার ভাঁড়ারে জমা পড়েনি, তাদের মধ্যে শেখ অন্যতম। গত বছর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। সারদা মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে পুলিশ গত রাতে তাকে গ্রেফতার করে। আজ ধৃতকে বিলাসিপাড়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত শেখকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।

সুদীপ্ত সেন নয়, নামনি অসমে লগ্নিকারীদের কাছে কাদের শেখই ছিলেন সারদার ‘মুখ’। ওষুধের দোকানদার থেকে সুদীপ্ত সেনের ‘কাছের মানুষ’ হয়ে ওঠা শেখ দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে সংস্থার এজিএম হন। আলমগঞ্জে ২ কোটি টাকা খরচ করে প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করেন। আরও একটি বাড়ি কেনেন ৪০ লক্ষ টাকায়। স্থানীয় এজেন্টরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা সুদীপ্ত সেনকে চিনতেন না। প্রতি মাসে সংগ্রহ করা দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা কাদের শেখের হাতেই তুলে দিতেন। ধুবুরি থেকেই তোলা হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। শেখ পালিয়ে যাওয়ার পর জনরোষের ভয়ে অনেক এজেন্টও গা-ঢাকা দিতে বাধ্য হন। সুদীপ্ত সেনের নাম করে সিবিআইকে লেখা চিঠিতেও অভিযোগ করা হয়েছিল, কাদের ও অসমের স্থানীয় কিছু কর্মী সংগৃহীত টাকার ৯০ শতাংশ নয়ছয় করেছেন। কাদেরের বিরুদ্ধে ৩১ জন এজেন্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, সারদা বন্ধ হওয়ার পরে, এজেন্টদের নিয়ে কাদের শেখ কলকাতায় ওই সংস্থার দফতরের সামনে ধর্নাও দিয়েছিলেন। তারপরই তিনি পালিয়ে যান। পলাতক থাকাকালীনই ধুবুরি থানার মামলায় জামিন পেয়ে যান শেখ। কিন্তু সাপটগ্রাম থানার মামলায় জামিন পাননি। সারদা মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর পুলিশও সতর্ক ছিল। গত রাতে অভিযুক্ত শেখ ধুবুরিতে যাওয়ার পরেই ধরা পড়ে যান।

dhuburi sarada abdul kader seikh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy