নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে গ্রামাঞ্চলের পরে এ বার শহরের জন্যও নতুন প্রকল্প নিয়ে এল নরেন্দ্র মোদী সরকার। পরিষেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির লোকসানেও যাতে লাগাম টানা যায়, সেটাও গুরুত্ব পেয়েছে ‘ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট স্কিম’ বা আইপিডিএস নামে ওই নয়া প্রকল্পে। এর জন্য ৩২ হাজার কোটি টাকা ধাপে ধাপে খরচ করবে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাই আইপিডিএস থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবে বলে সব রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি। যে যত বেশি আকর্ষণীয় প্রকল্প তৈরি করবে, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সেই রাজ্য অগ্রাধিকার পাবে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রক মনে করছে, শহরাঞ্চলে, বিশেষ করে ছোট শহরে (টায়ার-ওয়ান, টায়ার-টু) বিদ্যুৎ পরিষেবা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য প্রায়ই লোডশেডিং হয়। একই সঙ্গে বিদ্যুতের মানও বেশ খারাপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত বিদ্যুৎ সরবরাহের দুর্বল পরিকাঠামোর জন্যই এই সমস্যা হয়। বিদ্যুতের মান উন্নত করার পাশাপাশি শক্তপোক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে এক দিকে যেমন বিদ্যুতের ‘লিকেজ’ অর্থাৎ অপচয় কমানো যায়, তেমনই জ্বালানি (কয়লা) খরচও বাঁচে। সে কথা মাথায় রেখেই আইপিডিএস প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে যে চিঠি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, উন্নত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে সরবরাহ পরিকাঠামোর (ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক) প্রতিটা ধাপ খতিয়ে দেখে তবেই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। কেন্দ্র বলছে, নতুন সাব-স্টেশন তৈরির পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১১ থেকে ৬৬ কেভির নতুন লাইন বসাতে হবে। পর্যটন কেন্দ্র এবং ঘন জনবসতিপূর্ণ শহরে মাটির নীচ দিয়ে লাইন নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন ভাবে প্রকল্প-প্রস্তাব তৈরি করতে হবে যাতে বণ্টন সংস্থাগুলি উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে বিদ্যুৎ সরবরাহজনিত আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারে। কেন্দ্রের প্রস্তাব পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা বেশ ক’টি শহরের জন্য প্রকল্প-রূপরেখা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “আমরা প্রায় ছ’হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy