ভোট ঘোষণার পাঁচ দিনের মাথায় কংগ্রেস, বিশেষ করে রাহুল গাঁধী সম্পর্কে আরও আক্রমণাত্মক হলেন নরেন্দ্র মোদী। আর ভোটের প্রচারস্থল যদি বিহার হয় তবে মোদীর আক্রমণের মুখে নীতীশ তো পড়বেনই।
আজ পূর্ণিয়ায় বিজেপির সমাবেশে মোদী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। ইঙ্গিত দিলেন, ক্ষমতায় এলে ইউপিএ সরকারের দুর্নীতি-মামলাগুলির তদন্তে বিশেষ জোর দেবেন তিনি। ১০ বছরের কাজের হিসেব চাইবেন। আর নীতীশ সম্পর্কে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদীর কটাক্ষ, “উনি তো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে ঘুমোতেই পারছেন না।”
দল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার পর বিহারে মোদীর এটি চতুর্থ সফর। এদিন রাহুল গাঁধীর নাম না করে ‘শাহজাদা’-কে (এই নামেই নরেন্দ্র মোদী রাহুলকে সম্বোধন করে থাকেন) আক্রমণ করে মোদী বলেন, “দিল্লিতে ১০ বছর কংগ্রেস ক্ষমতায় আছে। কী কাজ করেছে, সব খরচের হিসেব দিতে হবে।” বলেন, “কাজের, খরচের হিসেব বহু বার চেয়েছি। কিন্তু সরকার কোনও উত্তর দেয়নি। ক্ষমতায় এলে যে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে তিনি কাঠগড়ায় তুলবেন তার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “শাহজাদার এই সরকারকে প্রতিটি দুর্নীতির জবাব দিতে হবে। কেন এত বেকারি তার জবাব দিতে হবে। প্রতিটি পয়সার হিসেব দিতে হবে।”
তথ্য-প্রযুক্তি ও কমপিউটার প্রশিক্ষণকে প্রচারের অন্যতম অস্ত্র করেছেন রাহুল। কমপিউটার শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে ইউপিএ সরকারের সাফল্যও রাহুলদের হাতিয়ার। মোদীর পাল্টা প্রশ্ন, “শাহজাদা বলছেন আইটি করেছেন। ক’টা স্কুলে কম্পিউটার পৌঁছেছে? কত স্কুল খোলা হয়েছে? বাচ্চারা যদি শিক্ষাই না পায় তা হলে আইটি দিয়ে কী হবে।” তাঁর কটাক্ষ, “আরে শাহাজাদা, মোবাইল চার্জ দেবে কোথা থেকে। দেশের বেশির ভাগ গ্রামেই তো বিদ্যুৎ নেই।”
এ দিন পূর্ণিয়ার সভা থেকে নীতীশ কুমারের প্রচারের মূল হাতিয়ার বিহারের বিশেষ মর্যাদার বিষয়টিকে নিজের প্রচারের অস্ত্র করে পালে হাওয়া টানার চেষ্টা করেন। স্পষ্ট আশ্বাস দিলেন, “দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেবে বিজেপি।” মোদীর থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে তিনি যে অধিক যোগ্য, নীতীশের সাম্প্রতিক এই মন্তব্যকে টেনে মোদীর কটাক্ষ, “বিজেপির সঙ্গে এত সুসম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি সরকার থেকে বিজেপিকে বের করে দিলেন, সেই হিসেবটা বহুদিন থেকেই মিলছিল না। দু’দিন আগে বুঝলাম, তিনি আসলে প্রধানমন্ত্রী হতে চান।”
দ্বারকাধীশের দেশের লোক নরেন্দ্র মোদী যাদব ভোটব্যাঙ্কের উদ্দেশ্যে বললেন, “এখানে যদুবংশের বহু মানুষ আছেন। তাঁরা দুধের ন্যায্য দাম পান কি? মোদী শোনান গুজরাতের আমূলের কাহিনী। আসল লক্ষ্য অবশ্যই যাদব নেতা লালু প্রসাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy