পয়া গোয়া থেকেই রাজ্য সফর শুরু করছেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্বগ্রহণের পর এই প্রথম দিল্লির বাইরে পা রাখছেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। আগামী শনিবার এক দিনের গোয়া সফরে যাচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও করার কথা তাঁর।
সফর শুরুর ক্ষেত্রে সব রাজ্য ছেড়ে গোয়াকেই কেন বেছে নিলেন মোদী? বিজেপি সূত্রের মতে গোয়া এমন একটি রাজ্য, মোদীর রাজনৈতিক জীবনে যা বারবার এনে দিয়েছে নতুন নতুন মোড়। যে কারণে গোয়াকে পয়া বলে মনে করেন তিনি।
গোধরা কাণ্ডের পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মোদীকে অপসারণের দাবি উঠেছিল দলের অন্দরেই। তাতে সায় ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর। কিন্তু গোয়ায় কর্মসমিতির বৈঠকে সেই আয়োজন ভেস্তে দিয়ে মোদীর পাশে এসে দাঁড়ান লালকৃষ্ণ আডবাণী। গদি বেঁচে যায় মোদীর।
তা বাদে এই গোয়াতেই প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নাম ঘোষণার প্রথম সোপান পেরিয়েছিলেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। গত বছর জুন মাসে গোয়ায় বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে মোদীর নাম ঘোষণা করার কথা ছিল প্রচার কমিটির প্রধান হিসাবে। স্থির হয়েছিল, এর ভিত্তিতেই মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হবে। বাস্তবে যা করাও হয় গত বছর সেপ্টেম্বরে। লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজরা মোদীকে প্রচার কমিটির প্রধান করার ব্যাপারে তুমুল আপত্তি তুলেছিলেন। সে সব আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে আডবাণীর অনুপস্থিতিতে গোয়ায় সঙ্ঘের নির্দেশে প্রচার কমিটির প্রধান হিসেবে মোদীর নাম ঘোষণা করে দেন দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ।
এখানেই শেষ নয়। গত বছর গোয়াতে এক কর্মিসভায় মোদী জানিয়েছিলেন, গুজরাত দাঙ্গার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হয়ে গেলে সে রাজ্যের উন্নয়নের মডেল গোটা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে পারতেনই না। পয়মন্ত গোয়া থেকেই তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজ্য সফর শুরু করতে চান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সূত্রের খবর, গোয়া সফরে গিয়ে প্রথমে ভারতীয় নৌসেনার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদী। বেশ কিছুটা সময় কাটাবেন আইএনএস বিক্রমাদিত্যে। বিকেলে দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। বিজেপি সূত্রের মতে, সেই কর্মিসভায় মোদী কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করবেন গোয়ার মানুষের প্রতি। এর পর মান্ডবী নদীর উপর একটি সেতুর শিলান্যাস করে ফিরে আসবেন দিল্লিতে।
সরকারি সূত্র বলছে, গোয়া-সফর শেষে অন্য রাজ্যেও যাবেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর মন্ত্রিসভারই এক সদস্যের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সব বিরোধী দল ও রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে চান তিনি। রাজ্যগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই তাই বিভিন্ন রাজ্যে যাবেন।” সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় বসবেন। পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদ ও আন্তঃ-রাজ্য পর্ষদকেও আরও সক্রিয় করে তুলবেন। মনমোহন জমানায় রাজ্যগুলির প্রতি যে ভাবে বঞ্চনা হত, বিশেষ করে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলির উপর, মোদী একেবারেই তার উল্টো পথ ধরে হাঁটতে চান, বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy