ফেলানি খাতুন মামলায় বিচারপর্ব দ্রুত শেষ হবে বলে বাংলাদেশকে আশ্বাস দিল ভারত। বিএসএফের ডিজি ডি কে পাঠক জানান, এই মামলায় বাংলাদেশের সাক্ষীদেরও ডাকা হবে।
২০১১ সালে কোচবিহারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের উপরে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানি খাতুনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢোকার সময় বিএসএফের গুলিতেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। কাঁটাতারের উপরে ঝুলন্ত ওই মৃতদেহের ছবি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে মানবাধিকারের প্রশ্নে বিতর্ক শুরু হয়। তদন্ত শুরু করে বিএসএফ। কিন্তু বিএসএফের আদালত অভিযুক্ত কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে নিরপরাধ বলে মুক্তি দিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে বিএসএফের ডিজি-র বাংলাদেশ সফরের আগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীই সেই আদালতের রায় খারিজ করে দিয়ে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেয়।
গত চার দিন ধরে দিল্লিতে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে সেই বিচার প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। বিএসএফের কর্তাদের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, কবে এই বিচার পর্ব শেষ হবে। বিএসএফের ডিজি বলেন, “বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সাক্ষী রয়েছেন এই মামলায়। যাঁদের বয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব শীঘ্রই তাঁদের ডাকা হবে।”
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে বলে মেনে নিয়েছে দু’পক্ষই। ডিজি-বিজিবি বলেন, “সীমান্তে মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে। বিএসএফ এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু আমরা এমন পরিস্থিতি চাই যেখানে সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নেমে আসবে।” বিএসএফের প্রধানের বক্তব্য, নিতান্ত বাধ্য না হলে গুলি না চালানোর কথাই বলা হয়েছে জওয়ানদের। সীমান্তে বেআইনি কাজকারবার রুখতেই বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy