Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বুথে রিগিং, ধৃত ৫, ফের ভোট নিল কমিশন

বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রিগিং-এর ঘটনা সম্প্রচারিত হওয়ার জেরে জেলে গেলেন প্রিসাইডিং অফিসার-সহ চার ভোটকর্মী। একই সঙ্গে সরাসরি রিগিং-এ অভিযুক্ত গ্রামরক্ষী বাহিনীর এক সদস্য তথা গুয়াহাটির কংগ্রেস প্রার্থীর স্থানীয় পোলিং এজেন্টকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল গুয়াহাটি কেন্দ্রের জালুকবাড়ি এলাকার বড়নিজরা বুথের এই ঘটনার জেরে সেখানে ভোট বাতিল করা হয়েছে। আজ ফের লেখানে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:০৭
Share: Save:

বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রিগিং-এর ঘটনা সম্প্রচারিত হওয়ার জেরে জেলে গেলেন প্রিসাইডিং অফিসার-সহ চার ভোটকর্মী। একই সঙ্গে সরাসরি রিগিং-এ অভিযুক্ত গ্রামরক্ষী বাহিনীর এক সদস্য তথা গুয়াহাটির কংগ্রেস প্রার্থীর স্থানীয় পোলিং এজেন্টকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল গুয়াহাটি কেন্দ্রের জালুকবাড়ি এলাকার বড়নিজরা বুথের এই ঘটনার জেরে সেখানে ভোট বাতিল করা হয়েছে। আজ ফের লেখানে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

টিভি সম্প্রচারে দেখা যায়, কংগ্রেসের এজেন্ট বিমল বড়ো ভোটারদের সাহায্য করার অছিলায় বারবার ইভিএম-এর কাছে গিয়ে ভোটারের হয়ে নিজেই বোতাম টিপে দিচ্ছিলেন। সেই ভিডিও সম্প্রচার হতেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলে। পুলিশ প্রিসাইডিং অফিসার তথা জলসম্পদ বিভাগের ইন্সপেক্টর পরেশ হাজরিকা ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিন নির্বাচন কর্মী এবং বুথে নিযুক্ত কমিশনের ভিডিওগ্রাফারকে গ্রেফতার করে। বিমল বড়োকেও গ্রেফতার করা হয়। রঙিয়ার এসডিজেএম আদালত সকলকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।

আজ ওই বুথে ফের ভোট হলেও অগপ, বিজেপি-র দাবি: কংগ্রেস সামগ্রিক ভাবেই যে ভোটে রিগিং করেছে এই ঘটনা তারই নমুনা, প্রমাণ। অগপ সভাপতি প্রফুল্ল মহন্ত ভোটে রিগিং-এর ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত দাবি করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত ভোট করাতে পারেনি, এই ঘটনা তারই উদাহরণ। কেবল একটি বুথ নয়, জালুকবাড়ির সব বুথে ফের ভোট নেওয়া হোক।” ঘটনার প্রতিবাদে আজ রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসে রাজ্য বিজেপি। পরে রাজ্যপালকে তাঁরা একটি স্মারকলিপিও দেন।

হিমাচলেও নিষিদ্ধ রামদেবের শিবির উত্তরপ্রদেশের পর এ বার হিমাচলপ্রদেশেও নিষিদ্ধ করা হল রামদেবের শিবির। রাহুল দলিতদের বাড়িতে ‘মধুচন্দ্রিমা’ করতে যান মন্তব্য করা নিয়ে সোমবার ফের যোগগুরুর বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি আইনে মামলা করা হয়েছে মহারাষ্ট্র, বিহারে এবং রাজস্থানে। ২৫ এপ্রিল লখনউয়ে রামদেব বলেন, “রাহুল আসলে একটি দলিত মেয়েকে বিয়ে করেছে। ও দিকে সনিয়া বলেছেন, আগে প্রধানমন্ত্রী হয়ে নাও, তার পর কোনও বিদেশিকে বিয়ে কোরো। রাহুল তাই ওই দলিতদের বাড়ি গিয়ে মধুচন্দ্রিমা ও পিকনিক সারে।” এর পরই নাগপুরের এনসিপি সভাপতি অজয় পাটিল যোগগুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের বক্তব্য, দলিতদেরও সম্মানহানি হয়েছে রামদেবের এ হেন মন্তব্যে। বিহার, রাজস্থানেও একই অভিযোগ । রামদেবের দাবি, কংগ্রেস তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করে দলিত-বিরোধী হিসেবে দেখাচ্ছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নরেন্দ্র চৌহান বলেন, অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যাতে কোনও ভাবে রাজনৈতিক প্রচার করা না হয়, সে জন্যই রামদেবের শিবির নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

election commission rigging
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE