বিমান ছিনতাইকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করবে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা। ১৯৯৯-এ কন্দহর-কাণ্ডের পর পরই যে আইন সংশোধনের কথা ভাবা হয়েছিল, আজও তা করে ওঠা যায়নি। কার্যত হিমঘরে পড়ে থাকা বিমান ছিনতাই রোধ (সংশোধন) বিলটি নিয়ে এ বার মোদী মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে। বিমানমন্ত্রী অশোক রাজু আজ এ কথা জানিয়েছেন।
ছিনতাই করে কন্দহরে নিয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান আইসি-৮১৪-র যাত্রীদের ছাড়াতে বড় রকমের আপস করতে হয়েছিল তৎকালীন অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারকে। মুক্তি দিতে হয়েছিল কুখ্যাত জঙ্গিদের। ২০০১-এ বিমান ছিনতাইয়ের বড় ঘটনা ঘটে আমেরিকায়। জঙ্গিরা ছিনতাই করা বিমানকে কার্যত ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ব্যবহার করেছিল নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে। এর পর বিমান ছিনতাই রোধে কড়া আইন প্রণয়নের ভাবনা আরও জোর পায় ভারতে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ২০১০-এ মনমোহন সিংহের সরকার এ সংক্রান্ত বিল পেশ করে রাজ্যসভায়। কিন্তু সেটি যায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। সেই থেকে ঝুলে আছে বিলটি।
বিলের বেশ কিছু প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে এখনও। যেমন বিমান ছিনতাইকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা বলা আছে বিলে। ছিনতাই হওয়া বিমানকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া, ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের আশঙ্কা দেখা দিলে সেই বিমানকে বায়ুসেনার বিমান পাঠিয়ে নামিয়ে আনা কিংবা আকাশেই তা ধ্বংস করার অধিকার দেওয়া রয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীকে। জৈবাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে কি না, অনেক সময় তা বুঝতেই সময় লাগে। তাই ওড়ার তিন ঘণ্টা আগে থেকে নামার এক দিনের মধ্যে বিমানে হামলা হলে তাকেও ছিনতাই আইনের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে বিলে। অনেকেই কিন্তু বিমানকে গুলি করে নামানোর পক্ষপাতী নন। অনেকের আবার প্রশ্ন, বিমানে কোনও ভিআইপি থাকলে তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে কি? অনেকের আবার আশঙ্কা, মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র সাজা এ কথা জানা থাকলে ছিনতাইকারীরা আরও বেপরোয়া হবে। ফলে আত্মঘাতী হামলার পথেই হাঁটবে তারা।
তাই এত জট কাটিয়ে মোদী সরকারও এই আইন প্রণয়ন করে উঠতে পারবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy