Advertisement
E-Paper

ভোটে লড়তে বলেছিলেন মা-ভাই, দাবি প্রিয়ঙ্কার

বারাণসীতে তাঁকে ভোটে লড়তে অনুরোধ করেছিলেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধীও, আজ এ কথা জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়ড়া। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে দলের একাংশ প্রিয়ঙ্কাকে চায় তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সে কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন জাতীয় স্তরের নেতারাও। আজ বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাবও জানিয়ে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি জানিয়েছেন, ভোটে না লড়াটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:২৭

বারাণসীতে তাঁকে ভোটে লড়তে অনুরোধ করেছিলেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধীও, আজ এ কথা জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়ড়া। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে দলের একাংশ প্রিয়ঙ্কাকে চায় তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সে কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন জাতীয় স্তরের নেতারাও। আজ বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাবও জানিয়ে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি জানিয়েছেন, ভোটে না লড়াটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

ভোটের সময়ে প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে জল্পনা নতুন নয়। ২০০৪ সাল থেকে ক্রমাগত তা চলছে। দশ বছর আগেই জল্পনা ছিল রায়বরেলীতে সনিয়া গাঁধীর পরিবর্তে প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হতে পারেন। গত লোকসভা ভোটে প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে নানা সম্ভাবনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তeF প্রিয়ঙ্কাকে কেন্দ্র করে জল্পনা এ বার গত দুই ভোটের থেকেও স্বাভাবিক ছিল। কারণ, দৃশ্যত সনিয়া-কন্যা এখন আগের থেকে অনেক বেশি সক্রিয়। গত দু’মাস ধরে ১২ নম্বর তুঘলক রোডে রাহুল গাঁধীর বাসভবনে দলীয় ‘ওয়ার রুম’ কার্যত প্রিয়ঙ্কাই সামলাচ্ছিলেন।

তার মাঝেই বারাণসী থেকে প্রিয়ঙ্কার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। এর নেপথ্যে কারণ ছিল মূলত দুটি। এক, রাহুল গাঁধী যে ভাবে বিজেপি-র তাবড় নেতার বিরুদ্ধে ওজনদার প্রার্থী দিতে শুরু করেছিলেন, তার ভিত্তিতে কংগ্রেসে ধারণা হয়েছিল যে বারাণসীতে নিশ্চয়ই বড় কোনও নেতা নেত্রীকে প্রার্থী করা হবে। দুই, বারাণসীর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে দেরি হওয়ায় প্রিয়ঙ্কাকে প্রার্থী করা নিয়ে দাবি ও জল্পনা দু’টিই বাড়ছিল। কারণ, কংগ্রেস নেতাদের একাংশ মনে করছিলেন বারাণসীতে প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হলে এ বারের লোকসভা ভোটের মাত্রাটাই বদলে যাবে। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, গোটা দেশে তার প্রভাব পড়বে। যদিও শেষমেশ বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে স্থানীয় নেতা অজয় রাইকে প্রার্থী করেন রাহুল।

কিন্তু তার পর সংবাদমাধ্যমের একাংশ এখন এও বলছে যে প্রিয়ঙ্কা বারাণসীতে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতারাই তাতে রাজি হননি। কারণ তাঁদের মতে, প্রথমত মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হলে রাহুল গাঁধীর প্রচার ঢাকা পড়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, এখনই হাতের সব তাস খেলে ফেলা উচিত হবে না।

এই সব সমালোচনায় রাশ টানতেই আজ মুখ খোলেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, “দলের শীর্ষ নেতা বা মা এবং ভাই কেউই আমাকে ভোটে দাঁড়াতে নিষেধ করেনি। কিন্তু আমি এখনই প্রার্থী হতে চাইছি না। যদি ভবিষ্যতে কোনও দিন আমার মন সায় দেয় তবে এই সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে।” প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ছেলেমেয়ে বড় না হওয়া পর্যন্ত সংসদীয় রাজনীতিতে সরাসরি জড়াতে চান না তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। অরুণ জেটলির মতে, “প্রিয়ঙ্কা মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে ভালই হত। তাতে প্রিয়ঙ্কাকে ঘিরে জল্পনা শেষ হয়ে যেত।” তাঁর কথায়,“বস্তুত কংগ্রেস দলটাই একটি পরিবারের চারপাশে ভিড় করে থাকা কিছু মানুষ। পরিবারের এক সদস্য না পারলে তারা অন্য সদস্যের উপরে নির্ভর করে।”

priyanka rahul sonia loksabha election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy