Advertisement
১৬ জুন ২০২৪
মুম্বই মনতাজ

মুম্বইয়ে হেরেও লালি হারেনি

কথায় বলে, ‘ধ্যাধ্বেড়ে গোবিন্দপুর’। মুম্বইতে এহেন গোবিন্দপুরের সোয়াদ হাড়ে হাড়ে টের পেলুম। যারা পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিমে আরব সাগরের গায়ে থাকে, বিশেষ করে আন্ধেরি, ভারসোবা বা জুহু এলাকায়, তাদের কাছে এখানকার দূরের স্টেশন ‘কুর্লা লোকমান্য তিলক টার্মিনাস’ সত্যি সত্যিই এক ধ্যাধ্বেড়ে গোবিন্দপুর।

মিলন মুখোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০০
Share: Save:

কথায় বলে, ‘ধ্যাধ্বেড়ে গোবিন্দপুর’। মুম্বইতে এহেন গোবিন্দপুরের সোয়াদ হাড়ে হাড়ে টের পেলুম। যারা পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিমে আরব সাগরের গায়ে থাকে, বিশেষ করে আন্ধেরি, ভারসোবা বা জুহু এলাকায়, তাদের কাছে এখানকার দূরের স্টেশন ‘কুর্লা লোকমান্য তিলক টার্মিনাস’ সত্যি সত্যিই এক ধ্যাধ্বেড়ে গোবিন্দপুর। রেলপথে বারাসত থেকে লালগোলার লাইনে রানাঘাট যাবার মতো। পথ আর ফুরোয় না। ক্ষণে ক্ষণে অসোয়াস্তি বেড়েই চলেছে। সিনেমায় ‘একস্ট্রা নাচিয়ে’ তথা ‘বার গার্ল’এর সঙ্গে রিকশায় করে বাড়ির দিকে ফিরছি। অপরিসর অটোরিকশার সিটে বসে আছি লালির সঙ্গে। পাশাপাশি। রিকশার হেলন-দোলনে গায়ে গায়ে লাগছে। তবুও বসে রয়েছি। যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে। চালকের সামনে রাখা ‘রিয়ার-ভিউ-মিররে’ লক্ষ করছি, ড্রাইভার ঘুরে ঘুরে দুজনকে দেখছে। ভাবছে হয়তো, রাত বারোটার পরে ‘মেয়েছেলে’ সঙ্গে নিয়ে ঘুরছে, মানে বেশ লটঘট আছে। বাপ-বেটি অথবা ভাই-বোন হলেও ওই জাতীয় ভাবতে কোনও বাধা নেই। মধ্যরাতে নারী-পুরুষ প্রায় ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে আছে বা হাঁটছে দেখলে দর্শকের ভাবনা আটকাবে কে? সেই কারণেই সঙ্কুচিত হয়ে কোনও রকমে বসে আছি। রেলগাড়ি ছাড়ার মুখে পলসায়েব দায়িত্ব সঁপে দিয়ে গেল—যাবার পথে লালিকে পৌঁছে দিও, বীর বাঙালি!

এমনিতেও কোনও অচেনা-অজানা ভুতুড়ে ইস্টিশনে একটি পরিচিতা মেয়েকে, বিশেষ করে সে যদি যৌবনবতী হয়ে থাকে, তাকে একলা ছেড়ে চলে আসাটা মোটেই বীরত্বের পর্যায়ে পড়ে না। তাছাড়া, ট্রেনের পেছনের শেষ লাল বাতিটি পর্যন্ত লালিকে ভেজা চোখে হাত নাড়তে দেখে ভাল লাগছিল। ওর কয়েক বছরের সঙ্গিনী হঠাত্‌ করে চলে গেল, যদিও তার ভালর জন্যেই, মনকেমন, ‘খালি খালি’ লাগতেই পারে। বলেছিলুম, “এ বার যাওয়া যাক।”

মোটে দুটি রিকশা দাঁড়িয়েছিল। একজন পরিষ্কার জানাল যাবে না। অন্যটি মিটারের চেয়ে পঞ্চাশ টাকা বেশিতে রাজি হল। গত্যন্তর নেই। লালিকে জিগ্যেস করলুম, “কোথায় থাকো তুমি? যোগেশ্বরী, না আন্ধেরি ইস্টে?”

“আমি আর চুমকি তো পেয়িং গেস্ট থাকতুম। যোগেশ্বরীর ফাটকের কাছে। এখনও ক’দিন আছি। এ মাসটা। তারপর কী হবে জানি না।”

আমি আর এই প্রসঙ্গে বেশি ঘাঁটালুম না। জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তো থাকেই। পাশ কাটিয়ে অন্য কথায় এলুম, “তোমার মুলুক কোথায়? মানে, কোত্থেকে মুম্বইতে এসেছ?”

দোহারা গড়নের লালিকে দেখতে রূপসী না হলেও কুশ্রী বলা যাবে না। রং একটু চাপা। নাকটিও একটু চাপা মতোন। তবে মুখের চেহারা বেশ আদুরে আদুরে। মানে বাজারি ভাষায়, এক কথায় ‘ফ্যালনা’ বলা যাবে না। ঠিক সামগ্রী হিসেবে মোটেই নয়, মেয়েদের বিয়ের বাজারে।

প্রশ্নের জবাব দিল লালি, ‘ভুবনেশ্বর’।

“ভুবনেশ্বরে আমি গেছি। ওখানে কোথায়?”

“ঠিক ভুবনেশ্বরে নয়, ওড়িশায়, জিলা জগত্‌সিংপুরের নুয়াগাঁওতে”।

“কবে এসেছ? হঠাত্‌? ওড়িশার গ্রাম থেকে একেবারে মুম্বইতে”।

লালিরা ছয় বোন, তিন ভাই। কর্পোরেশন স্কুলে ‘পাঁচ কেলাস’ অবধি পড়েছে। অতগুলো ছেলেমেয়ে মানুষ করা হয়তো বাবা-মায়ের সাধ্যের বাইরে ছিল। ওর বাবা পানের বরোজে কাজ করত। মাঠে-খেতেই সারা দিন। গ্রামের মধ্যে লালিকেই দেখতে বেশ ভাল ছিল। কারণ ওড়িশায় কেন, সাধারণত দেশের যে কোনও গ্রামের মানুষের গায়ের রং ঠিক ফর্সা হয় না। খেতে-মাঠে-জলে-রোদে। মুম্বইয়ের ফ্যাশন বা ফিল্ম জগতের তুলনায় লালিকে এক কথায় ফর্সা বলা না গেলেও, নুয়াগাঁওয়ের লোকেরা ওকে নিশ্চয়ই অপরূপা মানতো এবং ওকে তা বলতও। ফলে লালির মনে মনে সিনেমায় চান্স পাবার আশা জাগা অস্বাভাবিক নয়। ভুবনেশ্বরের কোন এক ছেলের পাল্লায় পড়ে ও ‘অগোছালো’ সংসার থেকে পালিয়ে চলে এসেছে এখানে।

বান্দ্রা ছাড়িয়ে ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ে দিয়ে রিকশা ছুটেছে আন্ধেরির দিকে। ফাঁকা রাস্তা। দশ-বারো মিনিটেই পৌঁছে যাব।

“দেশে কবে গিয়েছ?”

“আর যাইনি”।

“মানে! দেশে মা-বাবা-ভাইবোন রয়েছেন। তাদের জন্যে মন কেমন করে না? অন্তত ক’টা দিন ঘুরে আসতেও তো পারো।”

“কোন মুখে?” থেমে থেমে কথাগুলো বললে লালি, রাস্তার দিকে চোখ রেখে, “মুখ পুড়িয়ে এসেছিলুম সেই পাঁচ-ছ’ বছর আগে...এখন কী নিয়ে যাব?”

ওর গলার স্বর ভারী হয়ে এল। কথাই ফুরিয়ে গেল বোধহয়। আমিও আর কথা বলতে সাহস পাচ্ছি না। হয়তো চলন্ত রিকশার মধ্যেই কেঁদে ফেলবে। তখন ভারী অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হবে। চুপ করে গেলুম। আসলে অ্যাতো কালের সঙ্গিনী চুমকি ফিরে গেল তার দেশের বাড়িতে। বাবা-মায়ের কাছে। তাও তো পলসাবের উদ্যোগ আয়োজনে। লালির তো গ্রামের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই। কে বেঁচে আছে, কে মরে গেছে, কে জানে! তাছাড়া লালির সেই অর্ধশিক্ষিত গ্রাম নুয়াগাঁওয়ে কোনও ‘পল-সাহেব’ তো নেই যে চুমকির মতো লালিকেও যোগাযোগ করিয়ে দেবে? অনুন্নত দেশগাঁয়ের বাড়ি ছেড়ে কেউ পালিয়ে দূর দেশ এই মুম্বইতে এলে এবং পাঁচ-ছ’ বছর পেরিয়ে গেলে, নোঙর আর থাকে না। নোঙর, শেকড়, সব ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্বল, অসহায়, ভারী মন ঠেলে, চোখ ভাসিয়ে কান্না তো আসতেই পারে।...

কয়েক মাস আর দেখাই হয়নি। প্রায় ভুলেই গেছি ওর কথা। কত রঙবেরঙের চরিত্র, কত নতুন মানুষ-মানুষী। তাদের জমজমাট এবং জাঁকজমক ভরা দিনরাত্রির ভিড়ে লালির কথা মনে পড়ার সুযোগই আসেনি। পল সায়েবও বেপাত্তা নিজের ধান্দায়, ইনডোর-আউটডোর শ্যুটিং কভার করতে।

“নমস্তে বাবুজি।”

ফিল্মিস্তান স্টুডিওতে ‘স্কুপ’ সন্ধানে গিয়ে দু’তিন তলা ঘুরে নীচের তলার করিডরে দাঁড়িয়ে ভাবছি এক নম্বর ফ্লোরে কী হচ্ছে! ‘বাবুজি নমস্তে’ শুনে ফিরে তাকালুম। অচেনা মেয়ে। আদিবাসীদের মতো সাজপোশাক। খোঁপায় ফুল। গাছকোমর শাড়ি-পরা। কপালে টিপ।

আমার মুখের ভাব দেখে মেয়েটি জিগ্যেস করলে, “আপনে হমে পহ্চনা নেহি, বাবুজি।”

কোথায় যেন চেনা-চেনা লাগলেও ঠিকঠাক ধরতে পারছি না।

“হামি লালি। সেই যে চুমকি...লালি? মনে পড়ছে?”

তা চিনব কী করে? এ লালিকে তো আগে দেখিনি। মুখে রুজ-লিপস্টিকের বদলে, মুখের-গলার-হাতের রং পালটে গেছে মেক আপের কালচে রঙে। আদিবাসীদের মতো চ্যাপ্টা নাকে নোলক, চোখে টানা কাজলের প্রলেপ। তা ছাড়া, এবারে ভাল করে চেয়ে দেখে স্পষ্ট মনে পড়ল, ওর সেই দোহারা চেহারা আর নেই। বেশ রোগা-রোগা লাগল। চিনতে পেরে, প্রথম কথাই ওকে জিগ্যেস করলুম, “আরে লালি! সত্যিই তোমাকে চিনতে পারিনি। অ্যাতো রোগা হয়ে গেছ কেন? আছ কেমন? যোগেশ্বরীতেই আছ?”

সত্যিই লালিকে বেশ রোগা লাগছে। সেই দোহারা গড়ন একহারায় এসে ঠেকেছে। জবাব দিল ম্লান হেসে, “না, অন্য জায়গায় বদলেছি। ভালই আছি। ছুটোছুটি করতে হচ্ছে। নইলে ‘কাজ’ দেবে কে? আপনি কেমন?”

কিছু বলবার আগেই ওর মতো সাজের মেয়েরা ‘মেক আপ রুম’ থেকে বেরিয়ে এক নম্বর ফ্লোরের দিকে হাঁটতে হাঁটতে ওকে ডাকল, “হেই! বুলাওয়া আ গয়া। চলনা নেহি?”

‘আতি হুঁ’ বলে ওদের পেছন পেছন রওনা দিল। “মিলেংগে বাবুজি। ভাল থাকবেন”।

আমি কিছু বলার আগেই ও যেন তাড়াহুড়োয় দলের সঙ্গে চলে গেল। পেছন পেছন এক নম্বরের দিকে গেলুম। মিউজিকের সঙ্গে ফাইনাল রিহার্সাল চলছে। লং শটে অর্ধচক্রাকারে ক্যামেরা ঘুরছে। প্রায় ৫০-৬০ জনের বিশাল গ্রুপ। কল্পিত পাহাড়ের দৃশ্য। আদিবাসীরা বাজনার তালে তাল মিলিয়ে কোমর-কাঁধ দোলাচ্ছে। ফাইনাল মহড়ার পর অপরিচিত পরিচালকের চোঙামুখে হাঁক, “ফুল লাইটস....ক্যামেরা...”

মেয়েদের মুখে মুখে চোখ ঘুরছে আমার। লালির মুখ চোখেই পড়ছে না। অত মুখের মধ্যে খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। হঠাত্‌ দেখি, ভিড়ের শেষ সারির মাঝামাঝি প্রায় দেখা-যায়-না এমন জায়গায় প্রায় দাঁড়িয়েই রয়েছে। ঢুলছে একটু একটু। ঘোর অনিচ্ছায়।

হতেই পারে।

পাঁচ-ছ’ বছর আগে ঘর-বাড়ি-বাবা-মা-ভাইবোন, নিজেদের পরিবেশ ছেড়ে, এখানে ‘স্টার’ হবার আশায় ভর দিয়ে এসে পড়েছে। ফিরে যাবার মুখ নেই। কোনও রকমে লাইনে টিকে থাকা—নর্তকীদের ভিড়ে প্রায়-অদৃশ্য গৌণ চরিত্র। যে দিন শ্যুটিং পায় এরা, সে দিন রোজগার হয় খুব বেশি হলে দু-পাঁচশো টাকা। এদের মধ্যেও সুযোগ পাবার জন্য কো-অর্ডিনেটরকে ধরতে হয়, তেল দিতে হয়। আরও সব কী কী করতে হয়—শালীন-অশালীন কার্যকলাপ। যাকগে! মোটমাট মজুর-কুলিকামিনদের যেমন সর্দার বা মুকদিমকে তোয়াজ করলে তবেই কাজের সুযোগ জোটে, এ ক্ষেত্রেও অনেকটা সেই রকম।

চোখের সামনে থেকে হারিয়ে গেছে সেই একস্ট্রা লালি। উধাও হয়ে গেল ক্রমে ক্রমে। নতুন মানুষ, নতুন জীবনের ভিড়ে যেমন পুরনোরা হারিয়ে যেতে থাকে তেমনি।

এক বিষ্যুত্‌বার। কোনও নতুন বায়োস্কোপের প্রিমিয়ারে নেমন্তন্ন রাখতে গেছি। তারপর জুহুর পাঁচ-তারকায় ককটেল-ডিনার সেরে ফিরছি। অত রাতে কাছের ভাড়া নিতে চায় না ট্যাক্সি-রিকশাওয়ালা। সমুদ্রের ফুরফুরে হাওয়ায় জুহু-তারা রোড ধরে হাঁটতে হাঁটতে মোড়ের সিগনালে এসে দাঁড়িয়েছি। লাল আলোয় ক’টা গাড়ি আটকে আছে। একটা রিকশা এসে দাঁড়াল পাশে। উঁকি দিয়ে দেখলুম, খালি নেই। সওয়ারি বসে আছে। মহিলা।

আমাকে দেখে সেই মহিলাও ঝুঁকে ভাল করে দেখল রাস্তার আলোয়। সিগনাল সবুজ হতেই অটো নড়ে উঠল। মহিলা আরেকটু ঝুঁকে ডাকল, “আইয়ে বাবুজি। চলে আইয়ে।” অটো-রিকশা দু’কদম এগিয়ে গিয়েছিল, ড্রাইভারকে থামতে বলে মহিলা আবার ডাকল, “চলে আইয়ে বাবুজি। ঘর ছোড় দেতি হুঁ।”

রাত প্রায় একটা। এই সময় জুহু-বান্দ্রার রাস্তায় যে মহিলারা সেজেগুজে লিপস্টিক মেখে একলা বা দু’তিনজন মিলে ফুটপাথে বা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে বা ঘুরে বেড়ায়, তাদের আমরা শহরের লোকরা চিনি। কলকাতার চৌরঙ্গি, পার্ক স্ট্রিট বা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতেও দেখা যায়। শরীর ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করে এরা। পেটের দায়ে বা দেহের জ্বালায়।

রিকশা ফুটপাথের গায়ে দাঁড় করিয়ে নেমে এলো মহিলা। “বাবুজি, অনেক দিন পর। আমাকে চিনতে পারছেন না? লালি!”

মুহূর্তে পিছিয়ে, স্মৃতি-বিস্মৃতি তোলপাড় করে মনে মনে হাতড়ে দেখলুম ভাল করে। এ কী চেহারা হয়েছে সেই দোহারা আদুরে-আদুরে ওড়িশার মেয়ে লালির। মুখ ছোট্টটি হয়ে গাল ভেঙে গেছে। ডানা-শরীর—সমগ্র গঠন আগের তুলনায় কেমন চুপসে শুকিয়ে গেছে। প্রথমে ভাবলুম ওকে এড়িয়ে যাই। নানান প্রশ্নের তাগিদে রিকশায় উঠে বসলুম।

“কেমন আছেন? এত রাতে?”

পাল্টা প্রশ্ন করলুম, “তুমি? এত রাতে কোত্থেকে? অ্যাতো রোগা হলে কী করে? সিনেমায় আছ এখনও?”

ফ্যাকাশে মুখটি সামান্য উজ্জ্বল দেখাল। হেসে বললে, “ইতনা সওয়াল? সিনেমায় আর ডাক আসে না। আরোগ্য নিধি হাসপাতালে দোকান সারারাত খোলা থাকে বলে ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম।”

“কার অসুখ?”

“বাচ্চার। আমাদের ছেলের। শাশুড়ি-মার কাছে রেখে, ওর ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম।”

তিন-চার বছর হল বিয়ে করেছে লালি। হাসপাতালের চাপরাশিকে। ঘরসংসার হয়েছে। ওড়িশার নুয়াগাঁওতে বাবা-মার সংসারে আর ফিরে যেতে পারেনি লালি। স্বামী-পুত্র-শাশুড়িকে নিয়ে নিজের সংসার পেতেছে। সিনেমার ‘আইটেম গার্ল’ হতে পারেনি বলে দুঃখ আছে কি? না মুম্বইতে হেরে গিয়েও যেন, ওখানেই ‘ভুবনেশ্বরী’র সংসার পেতেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mumbai montaj milan mukhopadhay extras movie
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE