জঙ্গি দলের ছবি।
নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে ফের হামলার পরিকল্পনা করেছিল খাপলাং জঙ্গিগোষ্ঠী। কিন্তু, সেনা-কনভয় ওড়াতে আইইডি রাখার সময় বিস্ফোরণে দুই জঙ্গির মৃত্যু হল। জখম আরও এক। ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশে। এ দিকে আজ নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারত-মায়ানমার সীমান্তের কয়েকটি জায়গায় জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েক জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। প্যারাস্যুটে সে সব এলাকায় নেমেছিলেন সেনা কম্যান্ডোরা। তবে সেনার এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে যৌথ মঞ্চ। এ দিন মণিপুরে হামলাকারী জঙ্গিদের সংবর্ধনার ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
২ এপ্রিল লংডিংয়ে সেনাবাহিনীর রাজপুত রেজিমেন্টের উপরে হামলা চালিয়ে ৩ জওয়ানকে হত্যা করে খাপলাং বাহিনী। পুলিশ জানায়, একই কায়দায় ফের লংডিংয়ের ওয়াক্কা গ্রামের রাস্তায় আইইডি পুঁততে এসেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু আগেই সেটি ফেটে যায় সেটি। ঘটনাস্থলেই দুই জঙ্গি মারা গিয়েছে। তাদের দেহ উদ্ধার করেছে আসাম রাইফেল্স। অন্য জঙ্গিরা জখম সঙ্গীকে নিয়ে জঙ্গলে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মায়ানমার সীমান্ত। নিহত জঙ্গিদের কাছে একটি আইইডিও পাওয়া গিয়েছে।
দু’দিন আগে অরুণাচলের লাজুতে আসাম রাইফেল্স শিবিরে খাপলাং বাহিনী আক্রমণ চালায়। তবে জওয়ানরা সতর্ক থাকায় সংঘর্ষের পর জঙ্গিরা পালায়।
মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে আসাম রাইফেল্স বাহিনীর অভিযান চললেও, সেনাবাহিনী কার্যত চার দিন ধরে জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে খালি হাতেই ফিরেছে। তবে, জঙ্গলে মিলেছে গুলিবিদ্ধ এক কেওয়াইকেএল জঙ্গির মৃতদেহ। সেনাবাহিনীর সন্দেহ, বাকি জঙ্গিরা মায়ানমারে পালিয়েছে।
এ দিকে, সংগঠনের সব সদস্যকে যুদ্ধের জন্য জোটবদ্ধ হওয়ায় আবেদন জানাল এনএসসিএন-কে বাহিনীর প্রধান খাপলাং। একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শত্রুপক্ষ প্রলোভন দেখিয়ে নাগা বিপ্লবীদের দলে টানার চেষ্টা করবে। নাগাদের স্বার্থে আপস করা চলবে না। দল ত্যাগ করলে ফল খারাপ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy