Advertisement
E-Paper

রাও-মন্ত্রিসভায় ছেলে-ভাইপো, বিতর্ক

কয়েক দশকের অস্থিরতা কাটিয়ে অবশেষে রবিবার মধ্যরাতে জন্ম নিয়েছে দেশের ২৯তম রাজ্যটি। সেই তেলঙ্গানার জন্মের পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিতর্ক শুরু। রাজ্যের প্রথম মন্ত্রিসভায় কোনও মহিলার উপস্থিতি নেই। রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পরিবারের তিন সদস্য। তিনি নিজে, ছেলে এবং ভাইপো।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৪ ০৩:০০
আশীর্বাদ নিচ্ছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই

আশীর্বাদ নিচ্ছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই

কয়েক দশকের অস্থিরতা কাটিয়ে অবশেষে রবিবার মধ্যরাতে জন্ম নিয়েছে দেশের ২৯তম রাজ্যটি। সেই তেলঙ্গানার জন্মের পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিতর্ক শুরু। রাজ্যের প্রথম মন্ত্রিসভায় কোনও মহিলার উপস্থিতি নেই। রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পরিবারের তিন সদস্য। তিনি নিজে, ছেলে এবং ভাইপো।

আজ সকালে দেশের নবীনতম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হায়দরাবাদে শপথ নেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর মন্ত্রিসভায় প্রাথমিক ভাবে ১৮ জনকে নেওয়া হয়েছে। তবে শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ ১২ জন। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ইএসএল নরসিংহ। সকালেই তিনি সীমান্ধ্র ও তেলঙ্গানা দুই রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান মিটতে না মিটতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। নিজের আত্মীয়দের রাতারাতি বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাওয়ের বিরুদ্ধে। বাবার দিকে আঙুল ওঠায় জবাব দিতে ছাড়েননি ছেলে কে টি রামরাও-ও। তাঁর কথায়, “লোকজন এখনই সমালোচনা শুরু করেছে। আমাদের কাজই ঠিক এক সময় ওদের মুখ বন্ধ করে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “এত তাড়াতাড়ি বিচার করতে যাবেন না। এই মুহূর্তে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা মাত্র ১৮। পরে তা বাড়ানো হবে। তখন সব অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হবে।”

আলোর ফোয়ারা। উৎসবে মুখর নয়া তেলঙ্গানা রাজ্য। হায়দরাবাদে। ছবি: পিটিআই

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না তেলুগু দেশম পার্টির সভাপতি এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। সে নিয়েও কথা ওঠে। রাওয়ের পুত্র সে প্রসঙ্গে জানান, চন্দ্রবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উনি আসতে পারেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অবশ্যই ওঁকে নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। কেন আসতে পারেননি, তার কারণ উনি-ই ভাল করে বলতে পারবেন।”

কেন্দ্রের এনডিএ সরকার এ সব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায়নি। রাও-এর শপথের পর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন। লেখেন, “ভারত একটা নতুন রাজ্য পেল! ২৯তম রাজ্য হিসেবে তেলঙ্গানাকে স্বাগত! প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাও-কে অভিনন্দন।” মোদী জানান, তেলঙ্গানাকে সব রকম সহায়তা করতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সরকার।

মন্ত্রিসভায় মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়দের উপস্থিতি নিয়ে মাথাব্যথা নেই রাজ্যবাসীরও। গত কাল মধ্যরাত থেকে এখনও সেখানে উৎসবের মেজাজ। শাসক দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-এর রঙে গোলাপি আবিরে ঢেকেছে পথঘাট। রাজ্যের আনাচে কানাচে আয়োজন হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। টিআরএসের পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রা বেরোয়। আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাড়ানো হয় পুলিশি টহলদারিও। কিন্তু কোথাও কোথাও দেখা গেল পুলিশকেই বাজি ফাটাতে। যেমন সাইবারাবাদের এলবি নগর থানা চত্বর। পৃথক তেলঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে বছরখানেক আগে এখানেই গায়ে আগুন দেন বছর চব্বিশের যুবক। এলবি নগর থানা চত্বরটা তাই আজ অনেকটা শহিদ বেদির চেহারাই নিয়েছে।

t chandrasekhar rao telengana trs
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy