রাঁচির মেয়র নির্বাচনে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী। আর প্রথম স্থানে থেকে বিজেপি সমর্থিত আশা লাকড়া রাঁচি পুরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন।
কলকাতা বা দিল্লির মেয়র নির্বাচন পদ্ধতির সঙ্গে ফারাক রয়েছে রাঁচির নির্বাচন পদ্ধতির। এখানে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম’ মেনে মেয়র নির্বাচন হয়। মেয়র নির্বাচনে সরাসরি ভোট দেন পুরসভার নাগরিকরা। সরাসরি রাজনৈতিক প্রতীকে ভোটও হয় না। প্রার্থীরা পরোক্ষে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পান। তৃণমূলের পৃষ্ঠপোষকতায় ভোট লড়তে নামেন পেশায় স্থপতি নবীন লাকড়া। কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন মেয়র রমা খালকো। মেয়র নির্বাচনে টাকা বিলি সংক্রান্ত এক দুর্নীতির মামলায় বছর খানেক আগে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী রমা খালকো গ্রেফতার হওয়ার পরে মেয়র নির্বাচন স্থগিত করা হয়। গত সপ্তাহে নতুন করে এই পদে ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রার্থী দিয়েছিল আজসু-ও।
শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ভোট পেয়ে আশা লাকড়া নির্বাচিত হন। তৃণমূল সমর্থিত নবীন পেয়েছেন ২৫ হাজার ভোট। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে আজসু ও কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী। উল্লেখ্য, কংগ্রেস এ বারও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত রমা খালকোকেই সমর্থন করেছিল। তবে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী দ্বিতীয় স্থান পাওয়ায় উৎফুল্ল দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। ঝাড়খণ্ড তৃণমূলের আহ্বায়ক দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রথম বার মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েই আমরা দ্বিতীয় স্থানে এসেছি। এটা ইতিবাচক সংকেত। আঞ্চলিক দল আজসু এবং জাতীয় দল কংগ্রেসের সমর্থিত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন রাঁচি শহরের নাগরিকরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা আমাদের কাছে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।”
উল্লেখ্য, এই ভোটে নাগরিকদের আগ্রহ অবশ্য তেমন ছিল না। মোট ভোটারের মাত্র ১৭ শতাংশ ভোটার এ বার মেয়র নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy