প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে প্রাক্তন সহপাঠিনীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল বছর তিরিশের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির মায়াপুরী এলাকার বাড়ি থেকে অশোক যাদব নামে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অশোককে এই কাজে সাহায্য করার অভিযোগে আরও দুই নাবালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পশ্চিম দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকার ঘটনা। মোটরবাইকে চড়ে এসে এক চিকিৎসক যুবতীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ে ওই দুই নাবালক। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ওই যুবতীর ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, স্কুটি করে যাচ্ছিলেন যুবতী। ফোন আসায় স্কুটি থামান তিনি। হঠাৎই বাইকে চড়ে দুটি ছেলে এসে তাঁর ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর পরেই হামলাকারীরা ওই যুবতীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অপরাধ প্রমাণ হলে কমপক্ষে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে তাদের। অ্যাসিড কোথা থেকে কেনা হয়েছিল খোঁজ চলছে তার। ঘটনার পর যুবতীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এইমসে পাঠানো হয়। বছর তিরিশের ওই যুবতীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তিনি ডান চোখে আংশিক দৃষ্টি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাসিড হানার শিকার ওই যুবতীর সঙ্গে অশোকের বন্ধুত্ব প্রায় দশ বছরের। রাশিয়া থেকে দু’জনে একসঙ্গে এমবিবিএস পাশ করেন। দেশে ফেরার পর একাধিক বার ওই যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অশোক। ফিরিয়ে দেন যুবতী। সম্প্রতি যুবতীর বাবা-মা তাঁর বিয়ের ঠিক করেন। প্রতিশোধ নিতে অ্যাসিড হানার ছক কষে অশোক। ২৫,০০০ টাকার বিনিময় যুবতীকে ঘায়েল করার বরাত দেয় দুই নাবালককে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় অপরাধের কথা কবুল করে নিয়েছেন অশোক।