উত্তরপ্রদেশে একাধিক জায়গায় গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ঘটনায় গত কাল সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল কংগ্রেস। স্পিকার অনুমতি না দেওয়ায় লোকসভার ওয়েলে নেমে স্লোগান দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধে স্পিকারের পক্ষপাতিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদীর নির্দেশে কালই আসরে নেমেছিলেন অরুণ জেটলি। আজ আরও এক ধাপ এগিয়ে সরকার সংসদে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে আলোচনায় সায় দেওয়ার কথাও চিন্তা করছে। তাতেই কংগ্রেসকে বেশি বিপাকে ফেলা যাবে বলে মনে করছে বিজেপি। সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু এ দিন বলেন, “রাহুল গাঁধী বলেছেন, তাঁদের নাকি সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা যদি আলোচনায় সায় দিই, তা হলে কি রাহুল গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলবেন?” রাহুলকে কটাক্ষ করে বেঙ্কাইয়ার দাবি, “এমনিতেই রাহুল গাঁধীর মতো এক জন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ওয়েলে নেমে এসে নতুন নজির তৈরি করেছেন। এর পর তাঁরা যত সরব হবেন, ততই সরকারের হাত শক্ত হবে।” কারণ? “আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। বিরোধীরা মুখ খুললে ওদের মুখোশও খুলবে।”
গত কালই অরুণ জেটলি রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ বার আলোচনায় সায় দিয়ে সরকার চাইছে, রাহুল অন্তত মুখ খুলুন। শুধু হল্লা না করে সংসদে বক্তৃতা করুন। এ দিনও রাহুলকে সংসদে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। তবে বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, “সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার সময় মানুষ রাহুলকে ঘুমোতে দেখেছেন। এ বারে অন্তত তাঁর বক্তব্য শুনুন। আর রাহুল যদি না বলেন, তা হলে বিজেপি প্রচারে নামবে। কারণ রাহুলের অভিযোগই ছিল, তাঁদের বলতে দেওয়া হচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy