লালু-নীতীশ জোটের কাছে পরাস্ত হল বিজেপি। নীতীশকে রাজ্যসভার বৈতরণী পার করিয়ে দিলেন লালুপ্রসাদ। রাজ্যসভার দু’টি আসনের উপনির্বাচনে জেডিইউ মনোনীত প্রার্থী পবন বর্মা ও গুলাম রসুল বালিয়াভি জিতে গেলেন। তবে আজকের মতো মুখরক্ষা হলেও জেডিইউয়ের ১৮ বিধায়ক, কংগ্রেসের ২ বিধায়ক এবং আরজেডি-র ২ বিধায়ক দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপি-র সঙ্গে সামিল হয়ে বিক্ষুব্ধ জেডিইউ প্রার্থীদের ভোট দেওয়ায় নীতীশ, লালুর কপালের ভাঁজ রয়েই গেল।
আজ ২৩০ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন। জেডিইউ প্রার্থী পবন বর্মা পেয়েছেন ১২২টি, তাঁর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১০৭টি। আর গুলাম রসুল বালিয়াভি পেয়েছেন ১২৩টি ভোট। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১০৮টি। এর মধ্যে বিজেপি-রই রয়েছে ৮৩টি ভোট। এক বিজেপি বিধায়ক রাজ্যের বাইরে থাকায় তিনি আজ ভোট দিতে পারেননি। আজকের পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে ওঠে যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই ভোট ঘিরে ছিল টান টান উত্তেজনা। আর মাত্র ৮টি ভোট যদি বিক্ষুব্ধরা জোগাড় করতে পারতেন তবে পাশার দান উল্টে যেত। সে ক্ষেত্রে লালুর সমর্থনও নীতীশের কোনও কাজে আসত না।
আজকের লালু-নীতীশ জোট ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বলেই বিহার রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের ধারণা। অন্য দিকে তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যসভার ভোটে ‘ক্রশ-ভোটিং’ একবার যখন শুরু হয়ে গেল তখন তার জের চলতেই থাকবে। এবং শেষ পর্যন্ত রাজ্যের জিতনরাম সরকারকে তা টিকতে দেবে কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েই গেল।
আজকের ভোটের পর আর একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল বিক্ষুব্ধদের প্রতিক্রিয়া। বিক্ষুব্ধ প্রার্থী সাবির আলি এবং অনিল শর্মা এদিন লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে তাঁদের ‘ধোকা’ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তাঁরা বলেন, “লালুজির কথায় আমরা প্রার্থী হয়েছি। তিনি আমাদের ভরসা দেওয়ায় আমরা প্রার্থী হই। কিন্তু চরম সময়ে লালুপ্রসাদ আমাদের সঙ্গে বেইমানি করলেন।” যদিও আরজেডি-র তরফে এই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, “ওঁরা এখন জল ঘোলানোর চেষ্টা করছেন। কোনও পরিস্থিতিতেই বিজেপি-র সঙ্গে লালুপ্রসাদ সামিল হতে পারেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy