সমবেদনা জানাতে গিয়ে নিহত এসপির পরিবারের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। পুলিশের স্বজনপোষণ, ষড়যন্ত্র, কর্তব্যে গাফিলতি-সহ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন নিত্যানন্দ গোস্বামীর পরিবার। পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি এসপির দলে থাকা চার জওয়ানকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিলেন গগৈ। তবে এসপি-র পরিবারের দাবি, পুরো ঘটনার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। জানুয়ারিতে এনডিএফবির গুলিতে নিহত এএসপি গুলজার হুসেনের স্ত্রীও একই দাবি তুলেছিলেন।
গত কালই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ নিহত এসপি ও দেহরক্ষীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাঁর বার্তা নিয়ে এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করতে আজ সকালেই গুয়াহাটি হাজির হন রিজিজু। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমি নিজে উত্তর-পূর্বের মানুষ। যখন মূল ভূখণ্ডে উত্তর-পূর্বের মানুষের উপরে আক্রমণ হয় তখন আমরা জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করি। কিন্তু উত্তর-পূর্বের মধ্যেই যদি আমরা এ ভাবে নিজেরা নিজেদের হত্যা করি তবে উত্তর-পূর্বের মুখ পুড়বেই।”
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রিজিজু ৪ নম্বর অসম পুলিশ ব্যাটালিয়নে, গোস্বামী ও নুনিসাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিহত এসপির স্ত্রী রেখা গোস্বামী অভিযোগ তোলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আক্রান্ত হলেও, চার সঙ্গী জওয়ান এবং অন্য দুটি বাহিনী তাঁকে বাঁচাবার চেষ্টা না করে পালিয়ে আসে। পুলিশ সাফ জানায়, সকাল না হলে নিখোঁজ দু’জনকে উদ্ধার করতে জঙ্গলে ঢোকা সম্ভব নয়। পরিবারের দাবি, ষড়যন্ত্র করে এসপিকে জঙ্গিদের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেন তাঁরা। এমন অভিযোগও তোলা হয়, মোটা টাকা ঘুষ না দেওয়াতেই উপদ্রুত অরণ্য অঞ্চলেই গোস্বামীকে বার বার পোস্টিং দেওয়া হচ্ছিল। অপ্রস্তুত মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিবকে ঘটনার তদন্ত করার সঙ্গে অবিলম্বে নিহত এসপির চার সঙ্গীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন।